সুশীল সমাজ বাংলাদেশের কোন উন্নতি দেখতে পায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। তিনি বলেন, সুশীল সমাজের চোখে বাংলাদেশের সকল নেতিবাচক বিষয়গুলো পড়ে। তারা বাংলাদেশের ভালো দিক নিয়ে কোন কথা বলে না। নিজের দেশকে নিচু চোখে দেখে। আর তুলনা করার সময় বিশ্বের সবচাইতে ধনী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের তুলনা করে।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেলে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘পলিসি ক্যাফে উইথ সজীব ওয়াজেদ: রিডিফাইনিং ইম্পলয়মেন্ট’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিকে জব লেস গ্রোথ বলে। কোটা নিয়েও তারা ভুল তথ্য দেয়। সত্য হলো বাংলাদেশে মাত্র ৪.২ শতাংশ বেকারত্ব। অর্থনীতিবিদদের তথ্যানুসারে, ৫ ভাগের নিচে বেকারত্ব থাকাকে শূন্য বেকারত্ব হিসেবেই ধরা হয়। যেখানে অস্ট্রেলিয়ায় ৫.৫ ভাগ বেকারত্ব এবং ফ্রান্সে আমাদের দ্বিগুণ ৯.২ শতাংশ বেকারত্ব বিরাজ করছে, তারপরও আমার দেশের প্রবৃদ্ধিকে জবলেস গ্রোথ বলে সমালোচনা করছে সুশীল সমাজ।
তিনি আরো বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেটার দিকে নজর দিচ্ছে না তারা। বরং বেকারত্ব নিয়ে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। অথচ শুধু ২০১৭ সালে দেশে ১৪ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। দেশের পরিসংখ্যান অনুসারে যে ৪.২ ভাগ বেকার হিসেবে দেখানো হচ্ছে সেটিও গতানুগতিক হিসেব অনুসারে। এখানে উবার, পাঠাও বা এ জাতীয় কর্মসংস্থানের হিসেব অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই তালিকায় মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে কাজ করা ৩ লাখ ৯৩ হাজার মানুষের কথাও উল্লেখ করা হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে দরিদ্র ও রুগ্ন এক দেশ হয়ে থাকতে চায় না। আমরা উন্নতি করছি। এখন আমার সরকারের কাছে আমেরিকান সরকারের মত টাকা থাকলে আমরাও আমেরিকার মতই কাজ করতে পারতাম। এখন যদি একদিনে পদ্মাসেতু করে ফেলতে বলে, তা তো সম্ভব নয়। সময় দিতে হবে। একদিন নিশ্চয়ই আমরা উন্নত দেশগুলোর মতই সব কাজ করব।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, পাঠাও এর সিইও হুসেন ইলিয়াস, সেবা এক্সওয়াইজেড এর কো-ফাউন্ডার আরমিন, সাদেক এগ্রোর পরিচালক সদরুদ্দিন মন্টি, ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি লি. এর এমডি হুমায়রা চৌধুরী এবং ই-ভিলেজ প্রকল্প ও বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের প্রধান রশিদ হাসান। সঞ্চালনায় ছিলেন ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ।