দৌলতপুর(কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি॥
দৌলতপুরে নিয়মনীতি ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই উপজেলার শতাধিক ছোটবড় বাজারের অর্ধশহশ্রাধীক দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে তরলকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস। আইন কানুনকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে শুধুমাত্র ট্রেডলাইসেন্স নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানীর ব্যাবসা চলছে অহরহ।
জানাযায়, উপজেলার বিভিন্ন বাজার, পাড়া, মহল্লার মুদি দোকান,প্লাস্টিক সামগ্রির দোকান,ফার্ণিচার দোকান, ফোনফ্যাক্্েরর দোকান এমনকি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। এসব দোকানে নেই কোন আগুন নির্বাপক যন্ত্র। বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে জানা নেই প্রতিকারের ব্যাবস্থা। জনবহুল কিংবা আবাসিক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ন এ ব্যাবসার কারনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। জানাগেছে জ্বালানি অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী যে সব প্রতিষ্ঠান গ্যাস বিক্রি করবে তাদের গ্যাস বিক্রির স্থানকে স¤পূর্ণ সূরক্ষা রেখে ব্যাবসায়ীক কার্যক্রম চালাতে হয়। আইন অনুযায়ী গ্যাস বিক্রির স্থানে কমপক্ষে মেঝে পাকা সহ আধাপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপন লাইসেন্স সহ অগ্নিনির্বাপন সিলিন্ডার মজবুত ও ঝুকিমূক্ত সংরক্ষনাগার থাকতে হবে। এছাড়াও থাকতে হবে জ্বালানী অধিদপ্তরের অনুমোদন। অনুসন্ধানে দেখাগেছে এর কোনটিই নেই হাতেগোনা ২/১ জন ছাড়া এই উপজেলার গ্যাস ব্যাবসায়ীদের। এসব গ্যাস ব্যাবসায়ীরা সরকারকে রাজস্ব ফাকি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ভাবে দীর্ঘদিন তাদের ব্যাবসা চালিয়ে আসছে। একটু লাভের আশায় দোকানের বাইরে ফুটপাতে গনগনে রোদে ফেলে রাখা হয়েছে এসব সিলিন্ডার। অধিক লাভের আশায় মান ও মেয়াদহীন অনেক কোম্পানির সিলিন্ডার রাখায় এসব দোকানীরা নিজের অজান্তেই বোমার চেয়ে ভয়ানক বিপদের পশরা সাজিয়ে রেখেছেন। উপজেলার পি,এস,এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোঃ সাইদুল ইসলাম(টিটু) জানান, রাস্তার পাশে কিংবা রোদে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ঠিকনয়। এতে চাপ ও তাপ জনিত কারনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জানান, নিয়মনীতি ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়া যারা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।