• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন

বরাদ্ধ না আসায় কুড়িগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনা প্রকল্পের কাজ বন্ধ

আপডেটঃ : শনিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি॥
কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার জয়মনিরহাট ও সোনাহাট মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনা নির্মানাধীন প্রকল্পের কাজ ৮০ভাগ সম্পুর্ন করে হঠাৎ বন্ধ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। উক্ত কাজের জন্য বরাদ্দ না আসায় আবেদন করেও ঠিকাদার বিল না পাওয়ায় কাজ বন্ধ রেখেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে আগামী ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবসের আগে কাজ শেষ করার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
সোনাহাট ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জলিল জানান, শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহসিন আলীর কবরের পাশে স্মৃতি ফলকের কাজ প্রায় শেষের দিকে। হঠাৎ কাজটা বন্ধ করে ঠিকাদার তার লোকজন সরিয়ে নিয়েছে।
জয়মনিরহাট ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আতাউল হক জানান, এখানে শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্ট্যান্ট আশফাকুর ছামাদসহ আরো তিনজন শহীদের কবর আছে। এখানকার কাজটি ৮০ভাগ করে ঠিকাদার চলে গেছে। প্রতিবছর এখানে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও স্থানীয় প্রশাসন যৌথ ভাবে শহীদদের ছালাম জানানোসহ নানা অনুষ্টান করা হয়।
অপরদিকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলমগীর মন্ডল, ডেপুটি কমান্ডার মহির উদ্দিন, অবসর প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধ আর্মি কমান্ডার আব্দুল মজিদ কাজটি বন্ধের বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে আগামী ১৬ই ডিসেম্বরের আগেই বাকী কাজ শেষ করার জোড় দাবী জানান।
এব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুল হক জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অত্র উপজেলার জয়মনিরহাট মুক্তিযোদ্ধা গ্রেভিয়াড, সোনাহাট মুক্তিযোদ্ধা গ্রেভিয়াড ও বাসষ্ট্রান্ডে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক পুণ নির্মানের জন্য একটি প্যাকেজ টেন্ডার আহবান করা হয়। পরবর্তিতে নি¤œদরদাতা ঠিকাদারকে নির্মাণ কাজের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। ঠিকাদার জয়মনিরহাট মুক্তিযোদ্ধা গ্রেভিয়াড ও সোনাহাট মুক্তিযোদ্ধা গ্রেভিয়াডের ৮০ভাগ কাজ সম্পর্ন করে একটি চলতি বিলের আবেদন করেন। পরে কুড়িগ্রাম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস থেকে ঠিকাদারকে জানানো হয় যে হেড অফিস থেকে এখনও ফান্ড পাওয়া যায়নি। সে কারনে ঠিকাদার কাজটি সাময়িক বন্ধ রেখেছেন। আমি ঠিকাদারকে কাজটি দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছি।
যোগাযোগ করা হলে ঠিকাদার শফি মিয়া জানান, কাজ করার এখনও অনেক সময় আছে। নির্ধারিত তারিখের আগেই কাজ শেষ করা হবে।
এলজিইডি কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশল অফিসের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী শরীফুজ্জামান জানান, অর্থ বরাদ্দ চেয়ে হেড অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ঠিকাদারকে বিল দেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ