দেশের পাঁচ উন্নয়ন প্রকল্পে ২৩ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়াবে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এই ঋণের আওতায় বিবেচিত রেল উন্নয়ন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত টিউবঅয়েল সংস্কার করে খাবার পানি নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রকল্পগুলো উল্লেখযোগ্য। তবে এসব প্রকল্পের প্রক্রিয়াকরণ শেষ হলেও এখনো অনুমোদন মেলেনি। অনুমোদন পেলেই চুক্তির কার্যক্রম শুরু হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিজ দপ্তরে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পামন্ত্রী জানান, বন্যায় দেশে সড়ক, খাবার পানি ও রেলপথের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এসব কাজে এডিবি সহায়তা দেবে। তারা টাকা নিয়ে প্রস্তুত, আমরা রেডি হলেই এটা ছাড় হয়ে যাবে। এখন দায়িত্ব হলো, এসব প্রকল্প দ্রুত অনুমোদন করিয়ে দেওয়া। এর পরই অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) চুক্তির বিষয়গুলো চূড়ান্ত করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা নিজেরাই সংস্কার করছি। কোনো সময় বন্ধুদের পরামর্শেও সংস্কার করা হয়। সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংস্কারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। কেননা, এ প্রতিষ্ঠানটি আয়ের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এডিবির কাছে বাজেট সহায়তা আশা করছি দ্রুতই পাওয়া যাবে। এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, বাংলাদেশকে সব সময়ই সহায়তা দিচ্ছে এডিবি। তবে বাংলাদেশের রাজস্ব আয় বাড়ানো দরকার। এক্ষেত্রে সংস্কার আনতে হবে। বিশেষ করে আয়কর অধ্যাদেশ সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া হবে। বাজেট সহায়তার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি নিয়ে কাজ চলছে। অভ্যরন্তীণ তৎপরতা অব্যাহত আছে। প্রক্রিয়াটা দ্রুত শুরু হবে বলেও আশাব্যক্ত করেন তিনি। প্রকল্প ৫টি যতদ্রুত অনুমোদন হবে, তত দ্রুত চুক্তির কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর।