• শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ অপরাহ্ন

বোতলের গায়ের পুরোনো দাম মুছে নতুন দামে বিক্রি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ৮ মে, ২০২৩

নতুন করে গত ৪ মে ফের ভোজ্য তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। নতুন দামের বোতলজাত সয়াবিন তেল এখনো বাজারে আসেনি। পুরনো দামের বোতলজাত সয়াবিন তেল নতুন দামে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীদের অনেকে।তবে সেগুলোর গায়ে লেখা দাম মুছে দেয়া হয়েছে।

|
ক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়ার আশায় যে তেল গুদাম বা দোকানে মজুত করা হয়েছিল, মূল্যবৃদ্ধির পর সেগুলো এখন বাজারে ছাড়া হচ্ছে। কিন্তু গায়ে পুরোনো দাম লেখা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে।

ভোজ্য তেল আমদানিতে সরকারের দেওয়া ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ এপ্রিল। এরপর বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত ৪ মে নতুন করে লিটারে ভোজ্য তেলের দাম ১২ টাকা বাড়িয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৯ টাকায় বিক্রি হবে। এত দিন এই দাম ছিল ১৮৭ টাকা। এ ছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ৯৬০ টাকায়। এত দিন বিক্রি হতো ৯০৬ টাকায়। আর খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে বাড়ানো হয়েছে ৯ টাকা। ফলে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম হচ্ছে ১৭৬ টাকা। এত দিন প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৭ টাকায়। প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের নতুন দাম ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার রাজধানীর লালবাগ, পলাশী, নিউমার্কেট এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভোজ্য তেল সরবরাহকারী কম্পানিগুলো এখনো বাজারে নতুন দামের বোতলজাত তেল সরবরাহ করেনি। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর ঘোষণার পর থেকেই আগের বোতলজাত তেল নতুন দামে বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন। নতুন দামের বোতলজাত ভোজ্য তেল এখনো বাজারে সরবরাহ না করা হলেও কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

লালবাগ খাজে দেওয়ান কাঁচা বাজারে বাজারে কথা হয় শাহনাজ বেগম নামের একজন ক্রেতার সঙ্গে। তার হাতে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল দেখে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘বোতলের গায়ে মূল্য লেখা ১৮৭ টাকা, কিন্তু আমার কাছ থেকে নিয়েছে ১৯৫ টাকা। দোকানদার বলেছেন, যেহেতু আমি নিয়মিত কাস্টমার, তাই চার টাকা কম রেখেছেন। অন্যদের কাছ থেকে রাখছেন ১৯৯ টাকা। দাম বাড়ানোর ঘোষণার পর এখনো নতুন দামের তেল বাজারে আসেনি। দোকানিরা আগের তেল নতুন দাম ১৯৯ টাকা বিক্রি করছেন।’

আগের বোতলজাত তেল নতুন দামে বিক্রি করার বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক খুচরা ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, দাম বাড়ানোর ঘোষণার এক দিন আগে থেকে ভোজ্য তেল সরবরাহকারী কম্পানির ডিলাররা আগের দামে আর তাঁদের কমিশন দিচ্ছিলেন না। ডিলাররা কমিশন ছাড়াই বোতলের গায়ের দামেই খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তেল বিক্রি করছেন। রসিদও দিচ্ছেন না ডিলাররা। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে বোতলের গায়ের আগের দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তবে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েল বিক্রি করছেন নতুন দামেই।

রাজধানীর পলাশীর জাহিদ জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন বলেন, ‘তেলের দাম বাড়বে জেনে অনেক কম্পানি তেল সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল। যেটা দিচ্ছিল সেটা গায়ের দামে। ফলে অনেককে আগে তেলের বোতলের গায়ে যে দাম লেখা রয়েছে তার চেয়ে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

নিউমার্কেট কাঁচা বাজারের মেসার্স ভাই ভাই স্টোরের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখনো আমরা নতুন দামের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাইনি। ডিলারদের কাছে টাকা দিয়ে রেখেছি। আশা করা যাচ্ছে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে নতুন দামের তেল পাওয়া যাবে। তবে বাজারে তেলের কোনো সংকট নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ