নাজাম শেঠি ও শহিদ আফ্রিদি – ছবি : সংগৃহীত
আগামী সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ-২০২৩। ভারত জানিয়েছে- পাকিস্তানে গিয়ে তারা এ টুর্নামেন্টে অংশ নেবে না। ঠিক এরই প্রতিবাদ স্বরূপ আগামী অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে অংশ না নেয়ার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান। ইদানিং দুই দেশের ক্রিকেটকর্তাদের এই নিয়ে বচসা চলছে বেশ।
এমনই মুহূর্তে ইতিবাচক এক কথা বলে সমালোচিত হলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ খান আফ্রিদি। ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ নয়; বরং আফ্রিদি মনে করছেন- পাকিস্তানের উচিৎ ভারত বিশ্বকাপে অংশ নেয়া।
এ প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, তারা (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) কেন এত অনমনীয় হয়ে আছে আর বলছে যে আমরা ভারতে খেলতে যাব না। বিষয়টি তাদের সরলভাবে দেখা উচিৎ এবং বুঝতে হবে যে সেটা একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে খেলতে যাওয়া উচিৎ। ছেলেদেরকে ট্রফিটা জিততে বলুন। বলুন, পুরো জাতি তোমাদের পাশে আছে। এটা আমাদের জন্য শুধু বড় এক জয়ই হবে না, বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়াকে (বিসিসিআই) কষে একটি চড় মারাও হবে।’
শহিদ আফ্রিদির এই মতের সমালোচনা অন্য কেউ করেননি; বরং এতে তার একহাত নিয়েছেন স্বয়ং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নাজাম শেঠি। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ খেলতে ভারত যাওয়ার সিদ্ধান্ত সরকার নেবে, আফ্রিদির নয়।’
এক সাক্ষাৎকারে নাজাম শেঠি আরো বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা বিসিসিআই সচিব জয় শাহ ও আমারও নেই।’
‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত এদিকে পাকিস্তান সরকার নিতে পারে এবং ওদিকে ভারত সরকার। এই সিদ্ধান্ত সার্বিক নিরাপত্তার ওপর নির্ভর করছে। যদি সরকার বলেই আপনারা বিশ্বকাপ খেলতে যান, তাহলে অবশ্যই আমরা যাব।’ বলেন পিসিবি চেয়ারম্যান।
নাজাম শেঠি বলেন, ‘আমি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি জয় শাহের অনুরোধে সহ-সভাপতি পঙ্কজ খিমজির সাথে সাক্ষাৎ করেছি। তখন হাইব্রিড মডেল নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। পঙ্কজ খিমজি জয় শাহকে এ বিষয়ে ব্রিফিং করেছেন। আমাকে বলা হয়েছে, ১৫ মে জানানো হবে। কিন্তু আমি এখনো সে সিদ্ধান্ত শোনার অপেক্ষায় রয়েছি।’