কথা ছিল আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) সশরীরে এসে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন ঠিকই, তবে বাফুফেতে এসে নয়। ই-মেইলে এক ক্লিকে বাফুফের সঙ্গে দীর্ঘ এক যুগের সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন সাফজয়ী কোচ ছোটন।
বাফুফেতে এসে পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার কথা থাকলেও কেন জমা দেননি সেই প্রশ্নের জবাবে ৫৪ বছর বয়সী ছোটন বললেন, ‘গতকাল রাতে মেইলে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি। গত কয়দিনে যা হয়েছে তাতে শরীর খারাপ।’ যখন এই কথা বলছেন ছোটন, কণ্ঠে তখন তাঁর রাজ্যের ক্লান্তি।
২০০৮ সালে বয়সভিত্তিক দলে কাজ করার পরের বছর জাতীয় দলের হাল ধরেন ছোটন। সব মিলিয়ে বাফুফের নারী দলের সঙ্গে তাঁর পথচলাটা ছিল দীর্ঘ ১৫ বছরের। মেইলে পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার সময় কোনো আবেগ-আক্ষেপ কাজ করেনি বলে জানালেন ছোটন। আবেগতাড়িত হওয়ার ভয়েই কী বাফুফে আসেননি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, কোনো আবেগ কাজ করেনি। একবার যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি করব না, তখন আর করবই না।
গত শুক্রবার নিজের বিদায়ের কথাটি জানিয়েছিলেন মেয়েদের বয়সভিত্তিক ও জাতীয় দল মিলিয়ে অজস্র শিরোপাজয়ী কোচ ছোটন। কোচিং ছাড়ার পেছনে নিজের ক্লান্তি আর দল নিয়ে একের পর হস্তক্ষেপ ও ক্রমাগত জবাবদিহিকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছিলেন ছোটন। সিদ্ধান্ত বিবেচনা করার জন্য এরপর আর বাফুফের ডাকেও সাড়া দেননি। নারী ফুটবলকে নিয়ে ছোটনের সব সাফল্য এখন অতীত হয়ে গেছে মেইলে এক ক্লিকের মাধ্যমে। বাফুফের চাকরি ছেড়ে আপাতত কয়েক মাসের বিশ্রাম। এরপর ছোটন খুঁজে নেবেন কোনো দায়িত্ব।
ছোটনের পাঠানো মেইল বাফুফে পেয়েছে কি না সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল বাফুফের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারকে। ছোটনের মেইল পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তুষার।
You cannot copy content of this page