তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের সাথে সিরিজে কাজ করেছেন। তবে মিডিয়ার সামনে আসেননি। আজ ১ জুন শেরে বাংলায় প্রথম বাংলাদেশের মিডিয়ার মুখোমুখি হলেন জাতীয় দলের প্রধান সহকারী কোচ নিক পোথাস।
এমন নয় তিনি আগে বাংলাদেশের কোনো বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। তা করলে একটা ধারণা অন্তত থাকতো। কোনোরকম পূর্ব ধারণা ছাড়া কেন কী কারণে কী ভেবে বাংলাদেশে কাজ করতে আসা?
এ প্রশ্নের জবাবে এ দক্ষিণ আফ্রিকানের ব্যাখ্যা, ‘এটা মোটেও কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল না। গত ১৮ মাস ধরে বাংলাদেশ দৃষ্টিনন্দন পারফরম্যান্স করছে। ছেলেদের সামর্থ্য আছে। গত ছয়, সাত-আট মাস ধরে অসাধারণ খেলছে। এদের সাথে কাজ করা রোমাঞ্চকর।’
কিন্তু কঠিন সত্য হলো, বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দল এখনও সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। সাম্প্রতিক সময়ে ‘এ’ দলেরও বাজে ব্যাটিং দেখা গেছে। তেমন এক দেশের হয়ে কাজ করতে এসে কতটা কী করতে পারবেন?
এমন প্রশ্নে পোথাস প্রথমে রসিকতা করে জবাব দেন। তবে সেই রসবোধসম্পন্ন ব্যাখ্যায় একটি ইঙ্গিত আছে পরিষ্কার। তাহলো, বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সমস্যা কিছু দেখেছেনই। পোথাসের কথা, ‘যাদু লাগবে যাতে খুব দ্রত ব্যাটিং বদলে ফেলা যায়!’ এটুকু বলেই জানিয়ে দেন-‘মজা করছিলাম।’
তারপর সাজানো গোছানো ব্যাখ্যা। যার সারমর্ম হলো, সবকিছুরই সময় প্রয়োজন। তবে তিনি চিন্তিত নন। চিন্তিত হওয়ার মতো কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না এ প্রোটিয়া। তার বোধ উপলব্ধি, ‘বাংলাদেশের ব্যাটারদের সামর্থ্য আছে। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো না করার কোনো কারণ নেই। একটা নতুন জায়গা মানেই নতুন পরিবেশ। নতুন সংস্কৃতিতে এসেই আমি সবকিছু বদলে ফেলার কথা ভাবতে পারি না।’
ব্যাটিংয়ের বিষয়ে নিক পোথাস এখনই কোনোরকম মন্তব্যে যেতে রাজি নন। তার কথা, ‘আমার আগে তাদেরকে দেখতে হবে।’
তবে তিনি মনে করেন না, কোনো ভয়ডরের কারণ আছে। বাংলাদেশের নতুন প্রধান সহকারী কোচের আশা জাগানিয়া সংলাপ, ‘আমি তাদের যে সামর্থ্য দেখেছি, ভালো না করার কোনো কারণ নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক দল শীর্ষে থাকা মানে অন্য দলের অবনমন। এই উত্থানপতনের সাথেই চলতে হবে। খেলোয়াড়দের যাচাই করার জন্য আমি সময় নিতে চাই।’