এবারের আসরে মোট ৬ ম্যাচের কোনোটিতে গোল হজম করেনি ইংল্যান্ড। যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে রেকর্ড।
ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে পেনাল্টি ঠেকালেন জেমস ট্রাফোর্ড। ফলে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগটা আর কাজে লাগানো হলো না স্পেনের। তাতে শুধু পেনাল্টি ঠেকানোর স্বস্তিই নয়, প্রায় ৪০ বছর পর অনূর্ধ্ব-২১ ইউরো জয়ের আনন্দেও মাতল ইংল্যান্ড।
জর্জিয়ার বাতুমি অ্যারেনায় শনিবার অনুষ্ঠিত নাটকীয় ফাইনালে স্পেনকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপিয়ান অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের স্বাদ পায় ইংল্যান্ড। দলটি সবশেষ এই শিরোপা জিতেছিল ১৯৮৪ সালে।
সব মিলিয়ে তৃতীয়বার অনূর্ধ্ব-২১ ইউরো শিরোপা ঘরে তুলল ইংল্যান্ড। প্রথমবার এই শিরোপা পায় তারা ১৯৮২ সালে।
থ্রি লায়ন্স নামে পরিচিত দলটি ইউরোর অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়েরও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। ২০১৭ সালে তারা পরপর অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল।
এবার পুরো আসরে ইংল্যান্ড কোনো গোল হজম করেনি। জেমস ট্রাফোর্ড ফাইনালে ৯৯তম মিনিটে পেনাল্টি ঠেকিয়ে আসর জুড়ে দলের জাল অক্ষত রাখার কাজটা সারেন। স্পেন অধিনায়ক আবিল লুইজেন শট ঠেকান তিনি।
অথচ আবিল যদি তখন জালের দেখা পান, তাহলে ম্যাচটা চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে। কে জানে, ম্যাচের ফল হয়তো তখন অন্য রকম হতো!
সব মিলিয়ে এবারের আসরে মোট ৬ ম্যাচের কোনোটিতে গোল হজম করেনি ইংল্যান্ড। যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে রেকর্ড। তবে ইংল্যান্ড যেমন এই টুর্নামেন্টে কোনো গোল হজম করেনি, তেমনই ফাইনালে আগে স্পেন গোল করেছে মোট ১৩টি। কিন্তু শিরোপা নির্ধারনি ম্যাচেই গোল করতে ভুলে যাওয়ার মাশুল দিল দলটি।
ফাইনালে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়ার গোলটি করেন কার্টিস জোন্স। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। একেবারে শেষ লগ্নে দুদলেরই একজন করে খেলোয়াড় মাঠ ছাড়েন লাল কার্ড দেখে।