বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে পড়ে একজন স্বামী পরিত্যক্তা নারী (২৮) গণধর্ষণের ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ।
গণধর্ষণের শিকার ওই নরী বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভদ্রদীঘি গ্রামের মেয়ে। তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে কয়েক যুবক গণধর্ষণ করে।
সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ জানায়, স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তার সাথে সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কুতুবপুর উত্তর পাড়ার শাহাদুল সাকিদারের ছেলে লিমন সাকিদারের (৩০) সাথে মোবাইল ফোনে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লিমন ওই নারীকে বিবাহ করার কথা বলে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে সারিয়াকান্দিতে ডেকে আনেন।
ওই নারী গত শনিবার তার বাড়ি থেকে সারিয়াকান্দির উদ্দেশে রওনা দেন। লিমনের কথা মতো সে কুতুবপুর বাজারে রাত সাড়ে ৮টায় পৌঁছে। সেখানে লিমন ছোট কুতুবপুর মধ্যপাড়া গ্রামের ছাবেদ আলীর ছেলে সামিরুল ইসলাম (৩৫) এবং বড় কুতুবপুর উত্তর পাড়া গ্রামের হায়দার খাঁর ছেলে রাসেল মিয়ার (৩০) সাথে দেখা করে। তারা ওই নারীকে পাশের ধান ক্ষেতের দিকে নিয়ে যায়। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাসেল মিয়া, লিমন সাকিদার এবং তাহেরুল ইসলাম পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষকরা আবারো তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে দৌঁড়ে রাস্তায় চলে আসে। ধর্ষণকারীরাও তার পিছু নেয়। এ সময় রাস্তায় মোটরসাইকেলের আলো দেখে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পথচারী তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আইনাল হকের জিম্মায় দেয়। গণধর্ষণের শিকার ওই নারী রোববার সকালে সারিয়াকান্দি থানায় এসে চারজনের নামসহ অজ্ঞাত এবং তিনজনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করে।
সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, এ ঘটনায় ধর্ষক সামিরুল ইসলাম এবং রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।