সংবাদ সংযোগ:সিরাজগঞ্জ জেলার ১১টি থানার ভিবিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একদিনেই বিএনপি-জামায়াতের ১৪৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল থেকে রোববার (২৯ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত জেলার সদর, বেলকুচি, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, তাড়াশ, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, কাজিপুর, সলঙ্গা, কামারখন্দ ও চৌহালী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদধারী বেশ কয়েকজন নেতাও রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে জানা গেছে।
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন থানার পুলিশ কর্মকর্তারা এসব গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের ৩৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বেলকুচি থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় নাশকতার অভিযোগে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জন বিএনপি ও ৯ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী।
রায়গঞ্জ থানার ওসি আসি মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮ জন বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন দুলাল রয়েছেন।
উল্লাপাড়া থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, বিএনপির ১২ ও জামায়াতের ১ নেতাকর্মীকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাড়াশ থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, জামায়াত ও বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এনায়েতপুর থানার ওসি পঞ্চানন্দ বিশ্বাস বলেন, বিএনপি জামায়াতে মোট ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাশার বলেন, শাহজাদপুরে ৫ বিএনপি ও ৪ জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সলঙ্গা থানার ওসি বলেন, শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৭ জন বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কাজিপুর থানার ওসি শ্যামল কুমার দত্ত জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টায় অভিযান চালিয়ে ৭ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কামারখন্দ থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চৌহালী থানার ওসি হারুন-অর-রশিদ বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ২ বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম ও সদস্য হামিদ মোল্লা।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সামিউল আলম জানান,গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধাদান ও নাশকতার অভিযোগে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।