দেশব্যাপী বিএনপির ডাকা অবরোধ সফল করতে দ্বিতীয় দিনে বরিশালে ঝটিকা মিছিল করেছে মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (০১ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বান্দরোডে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহানগর ছাত্রদল।
কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি। এ সময় তারা সড়কের ওপরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এছাড়া সকালে সদর উপজেলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সমর্থনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে গেলো রাতে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সবুজ আকনের নেতৃত্বে এয়ারপোর্ট থানাধীন সাতমাইল এলাকায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধের পক্ষে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। এছাড়া মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বরিশালে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা সদর উপজেলার বরিশাল-লাকুটিয়া সড়কের ভাঙ্গারপুল এলাকার সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এদিকে বরিশালের হিজলা উপজেলায় অবরোধের পক্ষে মিছিলের পর আটক করা হয়েছে বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের চার নেতা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাউরিয়া এলাকায় মিছিলের পর বিকেলে আটক হন তারা।
গ্রেপ্তাররা হলেন- হিজলা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন খোকন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দিন দেওয়ান, বড়জালিয়া ইউনিয়ন যুগ্ম আহ্বায়ক শাহবুদ্দিন প্যাদা ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জামাল মোল্লা।
হিজলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সজল বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে কাউরিয়া টেকেরহাট শ্রীপুর এলাকায় অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতা কর্মীরা মিছিল করেন। এরপর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। বিকেলে উপজেলার বাসস্ট্যান্ডে থেকে তিন নেতাকে ও একজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবায়ের আহমেদ জানান, আটকদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা করা হবে। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
এদিকে আকস্মিক মিছিল ও অবরোধের চেষ্টার বাইরে স্বাভাবিক দিন পার করছেন বরিশালবাসী। সকাল থেকে নগরের অভ্যন্তরে সব ধরনের থ্রি হুইলারসহ গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ ও রুপাতলী থেকে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লা রুটের সব বাস চলাচল করছে। স্বাভাবিক আছে লঞ্চ চলাচলও।
আর অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক পরিস্থিতি সড়কগুলোতে। ব্যবসা, বাণিজ্য, আদালত, শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
এদিকে সড়কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। কাউকে সন্দেহ হলে করা হচ্ছে তল্লাশি। পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কেউ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (দক্ষিণ) মো. ফয়জুল করিম।