নানা আয়োজনে পালন করা হয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) দিবস। বৃহস্পতিবার ৯ বছর পেরিয়ে ১০ম বছরে পদার্পণ করল উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিটিএফও। একই সঙ্গে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহিয়সী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শুভেচ্ছাবাণী পাঠ করার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিটিএফও। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির মিলন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার সাথে সহশিক্ষা কার্যক্রম সমুন্নত হচ্ছে। ক্রমে জ্ঞানার্জন, সংস্কৃতি চর্চা, ক্রীড়ানৈপুণ্য শিক্ষার পীঠস্থানে পরিণত হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানকে অঞ্চল ও দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য।’ শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ দেশের সকল শহীদকে স্মরণ করেন তিনি। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রফেসর কলিমউল্লাহ।
অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউটের অভিবাদন গ্রহণ করার পর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনন্দ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন উপাচার্য। দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অংশগ্রহণে আয়োজিত দিনব্যাপী একাডেমিক ফেয়ার ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এসময় সকাল অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের এই দিনে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে তিনটি অনুষদের অধীনে ৬টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে তিনটি, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে চারটি, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে পাঁচটি এবং ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে আরো একটি মোট ১৫টি নতুন বিভাগ খোলা হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের অধীনে ২১টি বিভাগে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।