তৃতীয় দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ সমর্থনে বগুড়া সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ সময় অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মিছিলে পুলিশের গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি জামায়াতের।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের দ্বিতীয় বাইপাস সাবগ্রাম ও বাঘোপাড়াতে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ বলছে, নিজেদের ছোড়া হাত বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন জামায়াত নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমানের নেতৃত্বে দুই শতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোটা হাতে মিছিল শেষে মহাসড়কে অবস্থান নেয়। পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও শটগান থেকে দুই রাউন্ড ছররা গুলি ছোড়ে। এতে জামায়াত-শিবিরের ১০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তারা কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান।
একই সময়ে বগুড়া সদরের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বাঘোপাড়াতে জামায়াত নেতা আলী আজগরের নেতৃত্বে লাঠিসোটা হাতে মিছিল বের করেন দলটির নেতাকর্মীরা। আতংক ছড়াতে তারা দুইটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে তাদেরকেও ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এদিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার নেতৃত্বে দুই শতাধিক নেতাকর্মীরা সদরের দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কের লিচুতলা মোড় অবরোধ করে রেখেছেন। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
এসব বিষয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পুরো জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। জামায়াতের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে একাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও ছররা গুলি ছুড়েছে।