• শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন

শিবগঞ্জে জীবিত ব্যবসায়ীর নামে মৃত্যু সনদ!

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩

সংবাদ সংযোগ রিপোর্ট:মানুষটা জীবিত আছেন, দিব্যি হেঁটে-চলে বেড়াচ্ছেন। এমনকি প্রতিদিন বাজারে গিয়ে দোকানদারিও করছেন। সেই জীবত মানুষের নামেই কিনা ইস্যু করা হয়েছে মৃত্যু সনদ!

ঘটনা বগুড়ার শিবগঞ্জের। এ ঘটনায় হতাশ হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দাড়িদহ বাজারে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাজ্জাক মেডিকেল সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি একটি হত্যা মামলার বাদী।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রাজ্জাকের লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে তার ভাতিজা শরিফুল ইসলাম সৈকত খুন হন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন, যেটি বিচারাধীন।

আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন দাড়িদহ বাজারে একটি ওষুধের দোকান চালাচ্ছেন। হঠাৎ গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, তার মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে অবস্থা।

ভুক্তভোগী জানতে পারেন- মো. রাজ্জাক, পিতা- মৃত আমজাদ হোসেন, সাং- ময়দানট্টা (কালাইহাট্টা), উপজেলা- শিবগঞ্জ, জেলা- বগুড়ার নামে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি মৃত্যু সনদ তোলা হয়েছে এবং সেই হত্যা মামলার নথিপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, ‘মামলাটি বিচারাধীন থাকায় মামলার অভিযুক্তরা মামলা থেকে বাঁচতে আমার ও বাবার নামের সঙ্গে মিল থাকায় একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের নামে মৃত্যু সনদপত্র তুলেছে। কী উদ্দেশ্যে তারা এই সনদ তুলে মামলার নথিপত্রের সঙ্গে যুক্ত করেছে তা আমার বোধগম্য নয়।’

ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার মৃত্যুর সনদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানাতে পারি, আমার এবং আমার বাবার নামের সঙ্গে প্রতিবেশীর নাম এবং তার বাবার নাম মিলে যাওয়ায় মামলা থেকে বাঁচতে তারা সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি না জেনে ও না বুঝে সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে মৃত্যুর সনদপত্রের সূত্র ধরে প্রকাশিত একটি ভিডিও সংবাদে বক্তব্য দিয়েছি। তবে ইউপি চেয়ারম্যান যদি আমার প্রতিবেশীর নামে মৃত্যু সনদ দিয়ে থাকে, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছি। সেটি বিচারাধীন থাকায় অভিযুক্তরা এটির সুযোগ নিয়েছে মাত্র। প্রকৃতপক্ষে নামে মিল থাকার কারণে এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করেন, একইসঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ