• শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

সারিয়াকান্দিতে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর মহিলা সমর্থক সহ স্বামী ও শিশু সন্তান অপহরণ ,

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর নারী সমর্থক সহ তার স্বামী ও শিশু সন্তান অপহরণের শিকার হয়েছেন। সারিয়াকান্দির কামালপুর ইউনিয়নের সুতনারা পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থীর নাম শাহাজাদী আলম লিপি। তিনি বগুড়া- ১ আসনের সারিয়াকান্দি সোনাতলা থেকে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ ব্যাপারে সারিয়াকান্দি থানায় শনিবার সকালে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ৩ জন কর্মী তাজউদ্দীন, আলমগীর হোসেন ও রবিউল হাসান হেলাল সুতা নারা গ্রামে সন্ধ্যার পরপরই নাজমা আক্তার (৩৫) এর বাড়িতে যান। এ সময় নাজমা আক্তারের স্বামী বেলাল হোসেন (৩৮) ও তার মেয়ে শিশু সন্তান জান্নাতি আক্তার (৩) বছরের তার সাথে ছিলেন। উল্লেখিত আওয়ামী লীগের স্থানীয় ৩

 

কর্মী তাকে বাড়ি থেকে বাড়ির পিছন দরজা দিয়ে ঝোঁপ জঙ্গল ঘেরা পথে বের করে নিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা এও বলেন বিশেষ কোন প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পিছন পথ দিয়ে সুকৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যান। শনিবার সকালে ঘটনাটি এলাকায় চানচল্ল্য সৃষ্টি হয়।

স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাদের কোন হুদিস পাচ্ছেন না।

 

নিখোঁজ বেলাল হোসেনের মা আনোয়ারা বেওয়া বলেন, ছেলে , ছেলের বউ ও নাতনী এখন পর্যন্ত কোন সন্ধান না পাওয়ায় আমরা সবাই দিশেহারা।

 

অনেকেই, দেখেছেন অপহরণকারী হেলাল, তাজউদ্দীন ও আলমগীর আওয়ামী লীগ করেন। স্থানীয়, নুর ইসলাম, মেহেদী হাসান, আয়নাল হক ও রেজাউল করিম বলেন নাজমা আক্তার শাহজাদী আলম লিপির সমর্থক ছিলেন। যেভাবেই হোক জানতে পেরে প্রতিপক্ষের লোকেরা এ ঘটনা ঘটেছে। যেহেতু শাহজাদী আলম লিপি মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন লাগবে তিনি সে সমর্থন বইয়ে স্বাক্ষর করেছিলেন। সকালে অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়ায় সবাই বিচলিত ধারণা করা হচ্ছে নাজমা আক্তার শাহজাদী আলম লিপির সমর্থক হওয়ায় তাদেরকে সুকৌশলে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে।

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল হাসান হেলাল (৫০) আলমগীর (৪২)ও তাজ উদ্দিনের (৪৮) শনিবার দুপুরে তাদের বাড়িতে গিয়েও তাদের দেখা পাওয়া যায়নি এবং ফোনে যোগাযোগ করেও কথা বলা যায়নি।

৩ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন তার পরিবারের পক্ষ থেকে আমি শনিবার দুপুরে থানায় একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। বাদী আনোয়ার হোসেন কামালপুর ৩ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।

এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন অভিযোগটি পাওয়ার পরপরই আমরা তদন্তে নেমেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ