লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আমেনা বেগম (২৫) নামের এক অন্তঃসত্তা নারী আত্মহত্যা করেছেন। যৌতুকের জন্য স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। আগেও দুইবার তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছে নিহতের স্বজনরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বড়খাতা হাফেজ সাহেবের মাজার এলাকার লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আমেনা বেগম উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ডাকালিবান্দা পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার রোকন উদ্দিনের স্ত্রী। এছাড়া সে উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের এলাকার সাদা পাগলার মাজার এলাকার নুর হোসেনের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী রেজাউনুল হক বাবু বলেন, ওই নারী দুপুরের দিকে রেললাইনের ওপর বসে ছিলো। এর কিছুক্ষণ পর বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা কমিউটার ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেয়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহতের ভাই নবিউল ইসলাম বলেন, প্রায় ২০ দিন আগে বোন জামাই রোকনের সঙ্গে আমেনার ঝগড়া হয়। এরপর বাবার বাড়িতে চলে আসে। সে প্রায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো।
সকালে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে আমেনা বের হন। দুপুরের দিকে খবর পাই বোন ট্রেনে কাটা পড়েছে। এর আগেও সে স্বামীর বাড়িতে দুবার গলায় ফাঁস দেয়ার চেষ্টা করছিলো। স্বামী প্রায়ই তাঁকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করত।
বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। সে কিছুদিন আগে বাবার বাড়ি সাদা পাগলার মাজার এলাকায় বেড়াতে এসেছিল। হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মনির হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। রেলওয়ের এ ঘটনা রেল পুলিশ দেখবে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলী বলেন, ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। মরদেহটি থানায় নিয়ে আসা হবে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।