ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি॥
ঢাকার ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপুর আর্থিক সহযোগিতায় স্স্থুতা হয়ে উঠলেন ৫ম শ্রেণির ছাত্রী প্রেমা (১০)। প্রেমা হার্ডের সমস্যার কারনে দীর্ঘ দিন যাবত মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ছিলেন হাসপাতালের বেডে শুয়ে।
তাকে যেন দেখার কেউ নেই। এক সময় হার্ড ব্লক হয়ে মৃত্যু শয্যায় ছিলেন। সে সময় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রেমার অসুস্থতা নিয়ে আর্থিক সহযোগিতার শিরোনাম হয়েছিল। আর তখনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন ধামরাই থানার সফল আফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ মোঃ রিজাউল হক দিপু।
প্রেমার বাড়ী ধামরাই উপজেলার পৌর-শহরের বড়চন্দ্রাইল গ্রামের হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মোঃ সাইম হোসেনের মেয়ে। রিক্রাা চালিয়ে কোন রকমে সংসার চলে প্রেমার বাবার। কিন্তু ভ্যাগের নির্মম পরিহাস ডাক্তার বলেন দ্রুত ওপেন হার্ড সার্জারী করাতে হবে। এছাড়া প্রেমাকে বাঁচানো যাবে না। প্রেমার বাবা তখন হু হু করে কেঁদে উঠেন। এই সময় সে বিভিন্ন জায়গায় সহযোগিতার হাত পেতে ছিলেন কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য সহযোগিতা করেননি। ফিরে আসতে হয়েছে প্রেমার ফিরে আসতে হয়েছে প্রেমার বাবা-মার। প্রেমার অবস্থা সংটময় হয়ে পড়লে ডাক্তার তখন টাকার কথা বলে। কিন্তু কোথায় পাবে টাকা চিকিৎসা করাতে। এ খবর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পরে। এই সময়
ফেসবুকের মাধ্যমে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু বিষয়টি জানতে পারেন। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমার বাবাকে ডেকে এনে বিস্তারিত জানেন। পরে গরিবের কথা শোনে ওসি পিতৃ ¯েœহ জেগে উঠে। নিজ অর্থায়নে প্রেমার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন তিনি। পরে সেখান থেকে সম্পুর্ন সুস্থ্য হয়ে প্রেমা চন্দ্রাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করিতেছে। আগামীতে মেধাবৃত্তি পাওয়ার সম্ভনা রয়েছে বলে প্রেমার শিক্ষকদের ধারনা করছে।
এ ব্যপারে প্রেমার পিতা সাইম হোসেন বলেন, আমরা বাপু খেটে খাওয়া মানুষ অতসব বুঝিনা, ওসি স্যার ভাল মানুষ। আমরা স্যারের কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞ।
প্রেমার মা খোরশেদা বেগম অসুস্থ্য মেয়েকে সুস্থ পেয়ে অনেক খুশি। তিনি বলেন, ওসি স্যার আমার কাছে দেবদূতের মত। সব সময় আল্লাহর কাছে ওসি স্যারের জন্য দোয়া করি।
উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবু কালিপদ সরকার বলেন, অনেক ওসি দেখেছি বর্তমান ওসি সাবের মত এত ভাল মানুষ দেখি নাই।
অসহায় মানুষের জন্য মন কাঁদে।
এব্যপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে রাখতে পারলে ভাল লাগে। ভাল কাজে উৎসাহ পাই। আমার পরিবারও আমাকে উৎসাহ দেয়।