বগুড়া- ৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মোবাইলফোনে বুধবার হিরো আলম বলেছেন, নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর নিজের প্রার্থীতা প্রথ্যাহার করে নিবো। তবে কি কারণে তা এখনি বলছি না। ওইদিনই জানাবো।
গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে পূরণ না করার কারণ দেখিয়ে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন বগুড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম। সেদিন সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আশরাফুল হোসেন আলম দলীয় প্রার্থী হয়েও প্রার্থীতা আবেদন পত্রে দলের নাম উল্লেখ করেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এক শতাংশ ভোটার তালিকাও জমা দেননি। দলীয় ফরমের মূল কপি জমা না দিয়ে ফটোকপি জমা দিয়েছেন। এছাড়া হলফনামায় তিনি তার স্বাক্ষর দেননি এবং সম্পদ বিবরণী ফরমও জমা দেননি। এসব কারণে আশরাফুল হোসেন আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো। প্রার্থিতা ফিরে পেতে হিরো আলম গত ৬ ডিসেম্বর ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে আপিল করেন। সেই আপিলের শুনানিতে ইতোমধ্যে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। ওই আসনে বর্তমান এমপি জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন ছাড়াও বৈধ প্রার্থী রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি ও সাবেক বিএনপি নেতা ডা. জিয়াউল হক মোল্লা: আওয়ামী লীগ প্রার্থী হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, জাতীয় পার্টির মোস্তফা কামাল ফারুকসহ আরো কয়েকজন প্রার্থী।
এর আগে চলতি বছরের ১ ফেব্রয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছিল রিটার্নিং অফিসার। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত না পেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে প্রার্থীতা ফিরে পান হিরো আলম। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে হেরে যান তিনি। তবে বগুড়া সদরে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।