হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গতকাল তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আজ ফের কমেছে। কয়েকদিন ধরে জেঁকে বসা শীতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জেলার বাসিন্দাদের। শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মকাণ্ডের আয়ের উৎস ব্যাহত হচ্ছে। বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব।
কয়েকদিন ধরেই উত্তরের এই জেলায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে এই জেলায়। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। আজ সকাল নয়টায় ১১ দশনিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়া উপজেলায়। তাপমাত্রা কমায় জেলাজুড়ে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
গতকাল সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় হয়েছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
ঘন কুয়াশা এবং হিমেল হাওয়ায় সীমান্ত এই জনপদের মানুষের জীবনযাত্রাকে স্থবির করে ফেলেছে। অব্যাহত শীতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা প্রায় অচল হতে বসেছে। বিশেষ করে ছিন্নমূল এবং খেটে খাওয়া মানুষজন বেশি বিপাকে পড়েছেন।
একদিকে কর্মহীন হয়ে পড়া, অপরদিকে শীতজনিত বিভিন্ন রোগবালাই মানুষকে জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। চরমে।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে যে পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম।
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন, হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর- পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশ ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আজ রোববার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।