• শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন

ফরিদপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী সম্রাট গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

ফরিদপুরের আলোচিত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফাজ্জল হোসেন সম্রাটকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে ফরিদপুর শহরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত সম্রাট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হকের অনুসারী। বিগত কয়েকদিনে সম্রাটের নেতৃত্বে ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়। এ ছাড়া সম্রাটের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বাহিনী পরিচালনাসহ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম সমকালকে সম্রাটের গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে র‌্যাব ও পুলিশের একাধিক দল অভিযান পরিচালনা করছে। পরে বুধবার দুপুরে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-৩ আসনে ভোটের মাঠে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন সম্রাট। বিএনপির শাসনামলে ফরিদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিল বিশ্বজিৎ। ফরিদপুরে তার একটি গ্যাং ছিল। ওই গ্যাংয়ের ‘অবৈধ মালপত্র’ জোগান দিতেন সম্রাট। র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছিল বিশ্বজিৎ। সম্রাট ছিলেন তার ‘ডান হাত’। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

এলাকা ঘুরে জানা গেছে, সম্রাট বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে আছে মামুন, সাবেক যুবদল নেতা আফজাল মোল্লা, মিন্টু মণ্ডল ও রফিক মাস্টার। সর্বশেষ রোববার দুপুরে ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর এবং কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ সময় হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী সম্রাট বাহিনীর হামলায় এ. কে. আজাদের দুই কর্মী আহত হন। রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার গেরদা ইউনিয়নে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গেরদা হাই স্কুল-সংলগ্ন ঈগল প্রতীকের এ. কে. আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্পটি ভাঙচুর এবং হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গেরদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ এমার হকের নির্দেশনায় এ হামলায় অংশ নেয় কথিত ক্রসফায়ারের আসামি তোফাজ্জল হোসেন সম্রাট, হাসিবুর রহমান জেমিসহ সম্রাটের বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় গেরদা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন স্কুলশিক্ষক জুনায়েদ হোসেন বুলু ও শেখ খবির আহত হন। এর মধ্যে শেখ খবিরকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আলিয়াবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাদী বলেন, আলিয়াবাদসহ আশপাশের পুরো অঞ্চলে সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে জিম্মি করে রেখেছে সম্রাট। এ বাহিনীর আয়ের প্রধান উৎস অবৈধ বালুমহাল। একাধিক হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার নাম বলে এলাকায় মায়েরা সন্তানদের ঘুম পাড়ান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ