ভবিষ্যতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়তো এমন গাড়ি রাস্তায় চলবে, যা
আর মানুষকে চালাতে হবে না। একটি ‘কম্পিউটার মস্তিস্কওয়ালা’ রোবটই চালাবে গাড়ি। তবে অনেকের প্রশ্ন, চালকবিহীন গাড়ির সমস্যা শুধুই যান্ত্রিক নয়, এর একটা নৈতিক দিকও আছে। রোবটকে কি
ভালো-মন্দের বোধ শেখানো সম্ভব? রোবটের এই ‘নৈতিকতা’ নিয়ে ২০০৪ সালে এক সেমিনারও হয়েছিল। ড্রাইভারবিহীন গাড়ির মতো এখন এমন ক্ষেপণাস্ত্রও তৈরি হয়েছে যা শত্রুর পাল্টা আক্রমণের মুখে নিজে নিজেই দিক পরিবর্তন করবে। কিন্তু এরকম রোবট কি বানানো যাবে যে ছুরি হাতে একজন যোদ্ধা এবং ছুরি হাতে একজন সার্জনের পার্থক্য বুঝতে পারবে? সুজান অ্যান্ডার্সন এবং তার স্বামী মাইকেল দু’জনই কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তারা মনে করেন, রোবটকে নৈতিকতা শেখানোর উপায় হচ্ছে প্রথমে তাকে কিছু নীতি শেখানো- যেমন দুর্ভোগ এড়িয়ে চলো, সুখকে উত্সাহিত করো ইত্যাদি। এর পর মেশিন বিভিন্ন রকম পরিস্থিতিতে এই নীতিগুলো কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে তা শিখতে পারবে। সূত্র: বিবিসি