বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়া-১ আসনের স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রার্থী কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক মারধর ও হত্যা চেষ্টা মামলায় সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা থেকে র্যাবের একটি গোয়েন্দা দল তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ভোরে র্যাব তাদের বগুড়া ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। দুপুরে র্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ৬ জনের মধ্যে মিনহাদুজ্জামন লিটন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী সাহদারা মান্নানের ভাই।
এর আগে রোববার রাতে ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক রেজওয়ানুল রিজভীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে রিজভী ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পরই সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে রিজভীর স্ত্রী নাহিদ নাসরিন সাথী বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামন লিটন ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিনসহ ৭ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, উপজেলা চেয়ারম্যান লিটনের নেতৃত্বে জোড়গাছার ভেলুরপাড়া চারমাথা এলাকায় আব্দুল মতিসহ ৭ থেকে ৮ জন ব্যক্তি ঈগল মার্কার সমর্থক রিজভীর ওপরে হামলা চালায়। তাকে হত্যার উদ্দেশে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর ও মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয়।
র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বলেন, সিরাজগঞ্জে র্যাব-১২ হেডকোয়ার্টার্সের একটি গোয়েন্দা দল বঙ্গবন্ধু সেতুর আগে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বগুড়া থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদেরকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বগুড়ার ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন, ভোরে তাদের হস্তান্তর করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া মেনে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। বাকি ৫ জনের পরিচয় জানানো হবে।