ফেনী-৩ আসনের সোনাগাজী উপজেলায় লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে জাল ভোট দিতে গিয়ে ১৩ জন আটক হয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সোনাগাজী উপজেলার পৃথক তিনটি কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে উপজেলার উত্তর চর মজলিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১১ জন এবং সোনাগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে একজনসহ মোট ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
উত্তর চর মজলিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক এহসানুল হক বলেছেন, এ কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও ছয়জন পুরুষ।
সোনাগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রের ভেতর ২০-৩০ জন ছেলে এসে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়। তারা লাঙ্গল প্রতীকে জোরপূর্বক সিল দিয়ে বাক্সে ফেলে। দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে কেন্দ্রে পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় একজনকে আটক করে পুলিশ।
এ আসনে জাতীয় পার্টির লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ ঈগল প্রতীকে, তৃণমূল বিএনপির আজিম উদ্দিন আহমেদ সোনালী আঁশ প্রতীকে, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির তবারক হোসেন একতারা প্রতীকে, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবু নাসির চেয়ার প্রতীকে, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিজাম উদ্দিন মোমবাতি প্রতীকে, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের জোবায়ের ইবনে সুফিয়ান ছড়ি প্রতীকে, আবুল কাশেম আজাদ ট্রাক প্রতীকে এবং ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক আহম্মেদ সৈকত কাঁচি প্রতীকে লড়ছেন। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল কবীর (রিন্টু আনোয়ার) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
ফেনী-৩ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৯ জন এবং নারী ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৯২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ জন।