আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে পাকিস্তানের কারাজীবন শেষে তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। গণমাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে দিবসটির তাৎপর্য।
সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশনেও সম্প্রচারিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগ বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভার আয়োজন করেছে। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২। দুপুর ১টা ৫১ মিনিট। তেজগাঁও বিমানবন্দরের জনসমুদ্র সাঁতরে রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধু পৌঁছেন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)। লাখো জনতা সেখানে তাঁকে স্বাগত জানায়।
সেদিন তেজগাঁও বিমানবন্দরে ব্রিটিশ রাজকীয় সাদা কমেট বিমান থেকে অবতরণের সিঁড়ির মুখে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে অবিসংবাদিত নেতাকে অভিবাদন জানান উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ, পদচ্যুত মন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ।
সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তাঁরা বঙ্গবন্ধুকে মাল্যভূষিত করেন। তারপর মুজিব বাহিনীর চার অধিনায়ক শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘চার খলিফা’খ্যাত স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রব, শাজাহান সিরাজ ও আবদুল কুদ্দুস মাখনও বঙ্গবন্ধুকে মাল্যভূষিত করেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা : বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকালে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন। এ ছাড়া বিকাল ৩টায় জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।