ধামরাই(ঢাকা) প্রতিনিধি॥
ঢাকার ধামরাইয়ে পৈত্রিক ভিটে মাটি থেকে বিতাড়িত করতে হাতুড়ি পেটা করে এক কাঠমিস্ত্রীর দু’পা গুুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ওই কাঠমিস্ত্রী ধামরাই উপজেলা হাসপাতালের শয্যায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞা লড়ছে। তার অবস্থা আশংকা জনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। সে সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করতে পারে বলে চিকিৎসকদের আশংকা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৮টার দিকে ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের কুরুঙ্গি গ্রামে। সন্ত্রীহামলার শিকার ওই কাঠমিস্ত্রীর নাম মোঃআবুসাইয়দ খালাশী। তার পিতার নাম মোঃ এয়ামুদ্দিন খালাশী।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,কুরুঙ্গি গ্রামের মোঃ,মহসীনআলী,মোঃ গোলনমিয়া ও মোঃ আলী হোসেন একই গ্রামের মৃত মোঃ এয়ামুদ্দিন খালাশীর ছেলে মোঃ আবু সাইয়িদ খালাশীর পৈত্রিক ভিটে মাটি কেড়ে নিতে দীর্ঘদিন ধরে দখলী অভিযান চালিয়ে আসছে। এরই জের ধরে শনিবার সকাল ৮টার দিকে প্রতিপক্ষের লোক জন মহসীনের নেতৃত্বে কাঠমিস্ত্রী মোঃ আবু সাইয়িদ খালাশীর বসতভিটা দখলের জন্য সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
এসময় ওই কাঠমিস্ত্রী তাদের দখলীয় অভিযানে বাঁধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলাপাতারি মার ধর করে। এরপর গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে হাতুড়িপেটা করে ওই কাঠমিস্ত্রীর দু’পা গুঁড়িয়ে দেয়। তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে মূমূর্ষূ অবস্থায় ধামরাই উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে হাসপাতালের শয্যায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। তার অবস্থা আশংকা জনক বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়। ৭২ঘন্টা পার না হওয়া পর্যন্ত এব্যাপারে নিশ্চিত করে কোন কিছুই বলা যাবেনা বলে চিকিৎসকদের অভিমত।
এব্যাপারে ধামরাই থানায় হামলা কারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র জানায়। মিসেস সাইদা খাতুন জানান,আমার স্বামীর পৈত্রিক ওয়ারিশান সূত্রে প্রাপ্তভিটে মাটিটুকু সহ্য হচ্ছেনা প্রতিপক্ষ মহসীন গংদের। তারা আমার স্বামীর বসত ভিটেটি দখলের জন্য বহুদিন আগে থেকেই চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরই জের ধরে শনিবার সকালে ফের তারা হামলা চালিয়ে আমার স্বামীকে হাতুড়ি পেটা করে তার দুটি পা-ই গুঁড়িয়ে দিয়েছে।এখন সে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হওয়ার আশংকা করছেন চিকিৎসকরা। সে সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সে সত্যি পঙ্গু হয়ে গেলে আমাদের কি হবে। আমরা কি করে বাঁচব। মহসীনরা এভাবে আমাদের পথে বসিয়ে দিল। আল্লাহ একদিন ওদের বিচার করবেন। আমরা গরিব মানুষ,আমাদের কথা কারও কানে পৌঁছায় না। থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও পুলিশ আমার স্বামীকে দেখতে হাসপাতালে এবং আসামীদের ধরতে ঘটনা স্থলে যায়নি। ফলে আসামীরা উল্টো আমাদের মামলা না করার জন্য হুমকি প্রদান করছে।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ রিজাউল হক দীপু বলেন,আমার কাছে এখনও কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ হাতে পেলে অবশ্যই এব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।