আজ খুব ভোরে অফিসে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী নাঈম। শীতের সকালে ঘুম ভাব হওয়ায় ভাবছিলেন কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেবেন।করলেনও তা। কিন্তু তার সহকর্মীরা বার বার বিরক্ত হচ্ছিলেন। কারণ, নাঈম খুব নাক ডাকেন।
অস্বাভাবিকভাবে শুয়ে ঘুমালে মানুষ সাধারণত নাক ডাকেন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই গভীর ঘুমে মারাত্মক নাক ডাকেন যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
চলুন জেনে আসি কি কি কারণে মানুষ নাক যাকে আর কী তার সমাধান-
* নাকে মাংস বৃদ্ধি হলে নালি ছোট হয়ে শ্বাসে বাধার সৃষ্টি করে; এতে ঘুমালে নাকের ভেতরে শব্দ সৃষ্টি হয়। যা মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে।
* শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গলার চারপাশে চর্বি জমা হয়। এতে গলার পেশির নমনীয়তা কমে যায়। তখন নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে।
* জন্মগত কারণে শ্বাসযন্ত্র সরু হলে বা চোয়ালে কোনো সমস্যা থাকলে মানুষ নাক ডাকতে পারে।
* ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে এই সমস্যা হতে পারে।
* থাইরয়েডের সমস্যা ও গ্রোথ হরমোনের আধিক্যজনিত রোগেও নাক ডাকতে পারে।
* অনেক সময় চিত হয়ে ঘুমালে জিভ পিছনে চলে গিয়ে শ্বাসনালী বন্ধ করে দেয়। তখন নাক ডাকে।
সমাধান পেতে যা করবেন-
নাক ডাকা কমাতে শোয়ার ভঙ্গি পাল্টানো যায়। পাশ ফিরে শুলে এ সমস্যা কমতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিত হয়ে শোয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে পায়জামায় কোমরের কাছে টেনিস বল রাখতে পারেন। এতে ঘুমের মধ্যে আপনা-আপনি চিত হয়ে যাওয়া থেকে রেহাই পাবেন।
অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সাধারণ কারণগুলোর একটি। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।
মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিতে হবে। কারণ অ্যালকোহল কিংবা মদজাতীয় পানীয় জিভের পেশিগুলো শিথিল করে দেয়। এতে শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে পড়ে। যে কারণে মানুষ নাক যাকে।
অনিদ্রার অনেকগুলো কুফলের মধ্যে একটি নাক ডাকা। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ওঠার অভ্যাস করুন।
ঘুমানোর আগে প্রচুর পানি পান করুন। এই অভ্যাসও নাক ডাকার সমস্যা কমিয়ে দিতে পারে।