গাজীপুরের শ্রীপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যুবলীগ নেতা এসএম ফয়সাল আবেদীনকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় যুবলীগ নেতার হাতে পিস্তল দিয়ে মোবাইলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। এঘটনায় যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়াসাংগুন গ্রামের ত্রিমোহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার এসএম ফয়সাল আবেদীন উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী মধ্যপাড় গ্রামের এসএম জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি বরমী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী। অভিযুক্ত রাসেল (২৭), রাজিব (৩০) উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক গ্রামের মো. মোছলেহ উদ্দিনের ছেলে ও পাইটাল বাড়ি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মাসুম (২৮)। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৭/৮জনকে অভিযুক্ত করে ঘটনার দিন রাতেই ফয়সাল শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার যুবলীগ নেতা ফয়সাল জানান, রবিবার বিকেলে তিনি ব্যবসায়িক কাজ শেষে কাওরাইদ থেকে মোটরসাইকেলে করে বরমী বাজারে ফিরছিলেন। বিকেল ৪টার সময় তিনি কাওরাইদ-বরমী আঞ্চলিক সড়কের বরকুল বালিকা মাদরাসার পাশে আসা মাত্রই অভিযুক্তরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে।
তাকে টানা হেঁচরা করে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে কাওরাইদের নান্দিয়াসাঙ্গুইন গ্রামের ত্রিমোহনী (তিন নদীর মোহনা) এলাকার একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। অভিযুক্তরা তাকে বিশেষ ধরণের স্প্রিং যুক্ত লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা ফয়সালকে হত্যার ভয় দেখায়। পরে তার কোমরে ও হাতে পিস্তল দিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে এবং ভিডিও ধারণ করে, ভিডিও ছড়িয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অভিযুক্তরা তার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। ফয়সাল পাঁচ লাখ টাকা দেয়ার কথা বলে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক বা সামাজিক কোনো ভাবেই তাদের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। কিন্তু তারা হঠাৎই কেন আমাকে মারধর করলো তা আমার জানা নেই।
বরমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ খন্দকার জানান, অভিযুক্তরা এলাকার চিহ্নিত খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা ফয়সালকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। রাতেই ফয়সালকে চিকিৎসা করানো হয়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।