ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় দলবদ্ধভাবে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মো: রাকিব জমাদ্দারকে চট্রগ্রাম থেকে আটক করেছে চট্রগ্রাম র্যাব-৭।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে আটক ব্যক্তি রাকিব জমাদ্দারকে কাঁঠালিয়া থানার এসআই কে এম রিয়াজ রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিমের কাছে সোপর্দ করা হয়। এর আগে সোমবার চট্রগ্রাম র্যাব-৭-এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্রগ্রামের হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেফতার যুবক মো: রাকিব জমাদ্দার (২৪) উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের পশ্চিম তারাবুনিয়া গ্রামের মো: আ: হাকিম জমাদ্দারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি গ্রামের মো: খোকন সিকদারের মেয়ে ও চেঁচরী রামপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে (মিম আক্তার) বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেয় পাশ্ববর্তী তারাবুনিয়া গ্রামের সেলিম খানের বখাটে ছেলে সাগর খান। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মায়ের সাথে দেখা করানোর কথা বলে ওই ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে তুলে তারাবুনিয়া গ্রামের সুখরঞ্জন শীলের পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসামিরা।
পরে কৌশলে সেখান থেকে বের হয়ে বাড়িতে এসে বিষয়টি স্বজনদের জানায়। পরের দিন ১৩ ডিসেম্বর ধর্ষণের স্বীকার ওই ছাত্রীর বাবা মো: খোকন সিকদার সাগর খান, মনির জমাদ্দার ও রাকিব জমাদ্দারকে আসামি করে কাঠালিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এ নিয়ে মামলার তিন আসামির মধ্যে প্রধান আসামিসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি একজন পলাতক রয়েছে।
চট্রগ্রাম র্যাব-৭ জানায়, মামলার পর ছায়া তদন্ত করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে আসামি গ্রেফতার করা হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নাসির উদ্দিন সরকার জানান, চট্রগ্রাম র্যাব-৭ খুলনা এবং র্যাব-৮-এর একটি দল ধর্ষণ মামলার আসামি মো: রাকিব জমাদ্দারকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। আসামিকে কোর্টে চালান করা হয়েছে।