ঘন কুয়াশার কারণে অন্য এক ব্যক্তিকে চোর ভেবে বসেন এক কলাবাগানের মালিক। এর পর নির্দোষ ওই ব্যক্তি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে করেন তিনি।
বর্তমানে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহত ব্যক্তি। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় জারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় আহতের নাম নয়ন মোল্লা (৩৫)। শ্রীপুরের কাদিরপাড়া ইউনিয়নের কুপুড়িয়া গ্রামের আবু কালাম মোল্লার ছেলে তিনি। পেশায় তিনি কলা ব্যবসায়ী।
অন্যদিকে তাকে পেটানো বাগান মালিকের নাম বিদ্যুৎ প্রকাশ রায় (৫৫) উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। এদিকে ঘটনার দিন বিকেলেই আহত নয়ন মোল্লার স্ত্রী মুনিয়া খাতুন রিনি বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে অভিযুক্ত বিদ্যুৎ প্রকাশ রায়কে আটক করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী গ্রামের কলা ব্যবসায়ী নয়ন মোল্লার কাছে তার বাগানের কলা বিক্রি করেন বিদ্যুৎ প্রকাশ রায়। বেশ কয়েকদিন আগে ওই বাগানের কলা চুরির ঘটনা ঘটে। যে কারণে কলা বাগানে পাহারা দেওয়া শুরু করেন বিদ্যুৎ। মঙ্গলবার ভোরে নয়ন মোল্লা কলা কাটতে গেলে অন্ধকার ও ঘন কুয়াশার কারণে তাকে চিনতে না পারেননি বাগান মালিক বিদ্যুৎ প্রকাশ রায়। চোর সন্দেহে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে নয়নের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। পরে তাকে চিনতে পেরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দ্রুত শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান তিনি।
এ বিষয়ে আহত নয়ন মোল্লা বলেন, আমি ভোর ৬টার দিকে কলা কাটার জন্য তার কলা বাগানে গিয়েছিলাম। তিনি অতর্কিত আমার ওপর আক্রমণ করেন। আমার কাছে থাকা ব্যবসার ৮৫ হাজার টাকা আমি হাসপাতালে আসার পর পাইনি। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। অভিযুক্ত বিদ্যুৎ প্রকাশ রায় বলেন, এ বাগান থেকে এর আগেও ৭ কাদি কলা চুরি হয়েছে। আমি এ বাগান নয়ন মোল্লার কাছে বিক্রি করেছি। শুধু বায়নার টাকা পেয়েছি। কিন্তু তিনি কলা কাটতে গড়িমসি করেন। এদিন তিনি কলা কাটতে আসবে এ কথা আমাকে জানিয়ে আসেনি। আমি চোর ভেবে আমার হাতের লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করেছি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম জানান, কলার চুরির অভিযোগ পেয়েছি। কলা ব্যবসায়ীকে পেটানোর ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।