বাড়তি ওজন কমাতে কমবেশি সবারই চেষ্টা থাকে। কারণ বাড়তি ওজন মানেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের ঝুঁকি। এ কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।
একথা ঠিক যে, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই চ্যালেঞ্জিং । এক্ষেত্রে নিয়মিত কয়েকটি অভ্যাস কার্যকরী হতে পারে। ওজন কমাতে কোরিয়ানরা কী কী পদ্ধতি অনুসরণ করে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রান্না করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি মেনে চলেন কোরিয়ানরা। গ্রিলিং, স্টিমিং , বয়েলিং এই তিনটি উপায়েই সব খাবার তৈরি করেন কোরিয়ানরা। কোনো ধরনের ডিপ ফ্রাই করা খাবার খান না । এতে খাবারের পুষ্টি গুণ বজায় থাকে। বাড়তি ফ্যাট হয় না।
কোরিয়ান খাবারের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল- প্রতি বেলার খাবারের সঙ্গে কিছু না কিছু সবজি রাখা। এই উপায়ে অনেকটা সময় ধরে পেট ভর্তি থাকে। যা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই উপকারী।
সারাদিন কোনও না কোনও শারীরিক কার্যকলাপে জড়িয়ে থাকেন কোরিয়ানরা। অফিসে বা স্কুলে যাওয়ার সময় সাইক্লিং বা হাঁটাহাঁটি করেন তারা। জিমে যাওয়ার সময় যদি না পান তাহলে এই কৌশল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা ভীষণ উপকারী।
অল্প পরিমাণে খাবার খেতে হবে। এটাই কোরিয়ানদের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। তারা স্ন্যাক্স খেতে পছন্দ করে না। এর পরিবর্তে প্রচুর সবজি খায় , যা তাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে।
কোরিয়ায় খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার হল কিমচি। ফাইবারে ভরপুর এই খাবারের ক্যালরি কম, আর প্রোবায়োটিক্সে সমৃদ্ধ। পরিপাকতন্ত্রের জন্য প্রোবায়োটিক্স খুবই উপকারী। এছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর গ্রিন -টি’য়ে ঘন ঘন চুমুক দিতে পছন্দ করেন কোরিয়ানরা। এই উপায়ে নিজেদের বিপাকক্রিয়া বাড়াতে পারেন। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটি খুবই উপকারী।