শরীরের নিঃশব্দ ঘাতক ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শরীরে নানাবিধ জটিলতা দেখা দেয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে তা নিয়ন্ত্রণে জীবনযাপন পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের সব থেকে বড় সমস্যা কী খাবেন আর কী খাবেন না। খাবারে একটু অনিয়ম হলেই শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এ কারণে খাবারের ব্যাপারে তাদের সাবধান থাকা জরুরি।
এমন অনেক ধরনের খাবার আছে যা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এবার সুষম খাদ্য দুধকে নিয়েও উঠেছে এই প্রশ্ন। দুধ কি আদৌ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুরক্ষিত?
দুধ সুষম খাদ্য। এতে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন সি থেকে ভিটামিন ডি সব ধরনের পুষ্টিগুণই আছে। ছোট থেকে সবার প্রতিদিনের ডায়েটের অংশ হিসেবে দুধকে রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কিন্তু সমস্ত পুষ্টিগুণের মধ্যে উপস্থিতি মিলেছে মিষ্টিরও। এবার প্রশ্ন, এই প্রাকৃতিক মিষ্টি উপাদান কি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর?
ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়ে’র এক প্রতিবেদন বলছে, দুধের মধ্যে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত গরুর দুধ। এক গ্লাস দুধ অর্থাৎ ২৪০ মিলিলিটার কাপ দুধে ১৬০ ক্যালোরি, ৭.৭ গ্রাম প্রোটিন, ৮ গ্রাম ফ্যাট এবং রয়েছে প্রাকৃতিক মিষ্টি। সঠিক ভাবে বলতে গেলে গরুর দুধে ১২ গ্রাম মিষ্টি থাকে।
গরুর দুধের পর সব থেকে চাহিদা মহিষের দুধের। এতে গরুর দুধের থেকে ১০০ শতাংশ বেশি ফ্যাট রয়েছে। এছাড়া ৪০ শতাংশ বেশি ক্যালোরিও পাওয়া যায়। তবে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকা সত্ত্বেও অনেকে এই দুধ ব্যবহারে দ্বিধাগ্রস্ত হন। একইসঙ্গে অত্যাধিক ফ্যাট থাকার কারণে হার্টের সমস্যায় এই দুধ খেতে বারণ করা হয়।
দুধে কি রক্তে শর্করা বাড়ে?
গরু, মহিষ বা ছাগলের দুধ যে প্রাণীরই হোক না কেন তা প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি। ফলে দুধ খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে একইসঙ্গে দুধে ফ্যাট ও প্রোটিন থাকার কারণে বিপদজনক নয় বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
ডায়াবিটিস রোগীদের কি দুধ খাওয়া উচিত?
একাধিক গবেষণা বলছে, বিশুদ্ধ দুধ স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ ভালো। এমনকী টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১১ থেকে ১৭ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে দইয়ের মতো দুগ্ধজাত পণ্য ডায়াবেটিসে দারুণ উপকারী। এ কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্তরাও নির্দ্বিধায় দুধ খেতে পারেন।