• বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সৌদিতে দোয়া মাহফিল থেকে আটক বাঁশখালীর ৪ জনের মুক্তি মেলেনি ভারত, মণিপুরে আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে পুনর্বাসন করা হবে গণ-অভ্যুত্থানে সব শহীদের পরিবারকে : প্রধান উপদেষ্টা আমরা একসঙ্গে দেশ সংস্কার করবো : ড. ইউনূস কাঠমিস্ত্রী কে দিয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ বিনিময়ে করেছে হাজার কোটি টাকা লোপাট লোডশেডিং হওয়ার কারন যা জানালেন,বিদ্যুৎ উপদেষ্টা, দুই শিক্ষক বহিষ্কার, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা সদস্যর স্ত্রী হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার ইরানের সাথে উত্তেজনা বাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ ভিআইপির নজরে দেখবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে

বান্দরবানে সীমান্ত নিরাপত্তায় ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

সীমান্ত নিরাপত্তায় টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি বান্দরবান সীমান্তের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে আর কে-৩ কোর্সার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম) মোতায়েন করা হয়েছে।

সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে ব্যাপক সংঘর্ষ, গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের পর অত্যাধুনিক এই অস্ত্রটি মোতায়েন করা হয়। বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো: আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় চৌকিগুলোতে এই অস্ত্রটি দেখেছেন।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিজিবির ঘুনধুম সীমান্ত চৌকিসহ আরো বেশ কয়েকটি চৌকিতে এটিজিএম মোতায়েন করা হয়েছে। এটিজিএম হলো ইউক্রেনের তৈরি হালকা বহন যোগ্য ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এটি দিয়ে স্থির ও চলমান সাজোয়া যান এমনকি হেলিকপ্টারেও আক্রমণ করা যায়। ২০০০ সালে ইউক্রেনে এই অস্ত্রটি তৈরি হয়।

সীমান্তে অত্যাধুনিক এই অস্ত্রটি মোতায়েনে সীমান্ত সুরক্ষা ও নিরাপত্তার পাশাপাশি বিজিবির আধুনিকায়নে আরো এক ধাপ উন্নতি হলো।

সম্প্রতি বান্দরবান সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির সংঘর্ষে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি মটার শেল ও গুলি এসে পড়ে। এতে দুজন নিহত ও চারজন আহত হয়। সীমান্তের ওপারে হেলিকপ্টার থেকেও ব্যাপক গুলি ও বোমা বর্ষণ করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে বিজিবি কড়া প্রতিবাদও জানায়।

বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে রোববার সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা সীমান্ত থেকে পাওয়া দুটি রকেট লাঞ্চার বোম নিষ্ক্রিয় করেছে। বিকট শব্দে এগুলো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। এসময় সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

অন্যদিকে বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান করা মিয়ানমার বিজিপির ১৫৮ সদস্যকে এখনো সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তবে দুয়েকদিনের মধ্যে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে উখিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বান্দরবান সীমান্তে গোলাগুলি না হওয়ায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বেশিভাগ লোকজনই এখন ঘরে ফিরেছে। তবে যে পাঁচটি স্কুল বন্ধ করা হয়েছিল সেগুলো এখনোও খোলা হয়নি।

পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক হয়ে গেলে স্কুলগুলো খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম হুসাইনি।

তিনি জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ঘুমধুম এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হবে না। তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে তা উত্তর ঘুমধুমে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পরই বাংলাদেশ অবস্থানকারী মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের সে দেশে জাহাজে করে নিয়ে যাওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ