• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ অপরাহ্ন

ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ‘কৃষি সম্প্রসারণ বাতায়ন’ পরীক্ষামূলকভাবে চালু

আপডেটঃ : বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০১৭

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং কৃষি মন্ত্রণালয় এর যৌথ আয়োজনে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হল ‘কৃষি সম্প্রসারণ বাতায়ন’। বুধবার সচিবালয়ে অবস্থিত কৃষি মন্ত্রণালয় এর সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে  কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এই সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেন।
এছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ্ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার। এটুআই ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে সারা দেশের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীদের আন্তঃযোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ও আধুনিক কৃষি সেবাকে বহুমাত্রিকতা দেবার লক্ষ্যে একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম তৈরী করা হয়েছে, যার নাম ‘কৃষি সম্প্রসারণ বাতায়ন’।
দেশের ১৪ টি কৃষি অঞ্চলের ১৪ টি  উপজেলায় এবং কুষ্টিয়া জেলার সকল উপজেলায় ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে একযোগে ‘কৃষি সম্প্রসারণ বাতায়ন’ এর ১ মাসব্যাপী পাইলটিং কার্যক্রম চালু করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ বাতায়নে কৃষক, কৃষি সংগঠন, প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী, হাট বাজার, ডিলার এবং কৃষি জাত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকবে।এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের ৮০০ সম্প্রসারণ কর্মীসহ প্রায় ১২০০ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারী কৃষিমন্ত্রীর সাথে সরাসরি যুক্ত হন।
ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে একযোগে এত বেশী অফিসারের যুক্ত হওয়া বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।পরবর্তীতে এ বাতায়নের সাথে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে ১৯ টি উপজেলায় মোট ১৯ টি কৃষক সেমিনার করা হবে, যেখানে ৭০০ এর অধিক কৃষক সমাবিষ্ট হবেন। পাশাপাশি, মাসব্যাপী এ কর্মকাণ্ডে ১৯টি উপজেলার ৫০০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ৫০০ জন কৃষককে প্রশিক্ষিত করে তোলার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য, ইউএনডিপি এবং ইউএসএইড-এর কারিগরি সহায়তায় একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আসা অসংখ্য উদ্ভাবনী প্রস্তাবনা থেকে বাছাই হয়ে সেবা প্রদানে সবচেয়ে বেশি উদ্ভাবনী প্রস্তাবনাসমূহ স্বল্প আকারে স্বল্প সময়ে পাইলট প্রকল্প আকারে বাস্তবায়নের জন্যে সীমিত অনুদান পাচ্ছে। পাইলট শেষে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সাহায্য নিয়ে উদ্ভাবনী সেবাটি দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করা হয়।
কৃষকদের নানা সমস্যার সমাধানে গত জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন করা হয় ৩ টি অ্যাপ ‘কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা’, ‘কৃষকের জানালা’ এবং ‘বালাইনাশক নির্দেশিকা’। পাশাপাশি কৃষক ও কৃষি সেবাদানকারিদের জন্য কৃষি সমস্যা সমাধানে আরো ৮টি উদ্ভাবনী সেবা তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সে কৃষি মন্ত্রীর সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোবারক আলী; কুষ্টিয়া জেলা থেকে যুক্ত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব  মোঃ মোশারফ হোসেন; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের পরিচালক(ইনোভেশন) মোস্তাফিজুর রহমান এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক চন্ডি দাস কুন্ড। পাশাপাশি, ১৪টি কৃষি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকবৃন্দ ও উপপরিচালক বৃন্দ ও উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক। অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহ কৃষি সংক্রান্ত সকল প্রতিষ্ঠান এবং এটুআই প্রোগ্রামের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ