চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি॥
ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশু ধষর্ণের ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে মাত্র ২ হাজার টাকায়। স্থানীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা সবার চোখের আড়ালে গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটায়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ১টার দিকে উপজেলার মুশরীভূজা(জামতলা) গ্রামের মৃতঃ সহিমুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে সারোয়ার মাষ্টারের বাড়ীতে। উপজেলার মুশরীভূজা সিরোটোলা গ্রামের মৃতঃ ইউনুসের ছেলে ৬২ বছর বয়সের বৃদ্ধ সাইফুদ্দিনের বাড়ী গত ২৯ অক্টোবর প্রতিবেশী সোবুরের ৩ বছরের শিশু কন্যাটি খেলতে গেলে সে শিশুটিকে ধষর্ণের চেষ্টা করে। শিশুটির প্যান্ট খুলে স্পর্সকাতর স্থানে হাত দিয়ে বিভিন্ন ভাবে উত্তাক্ত করে। শিশুটি ভয় পেয়ে চিৎকার করলে তার মা দৌড়ে ঐ বাড়ীতে গেলে মেয়ে ভয় পেয়ে সব কথা বলে ফেলেন। বিষয়টি থানা পর্যন্ত না গড়ার জন্য স্থানীয় কথিত বিচারকেরা শিশুর বাবা-মাকে চাপ দেয়। এক পর্যায়ে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে কথিত আদালত বসিয়ে আপোস করে দেয়ার নামে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় কথিত বিচারকেরা। পরে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মুশরীভূজা সিরোটোলা খালেকের গোলিবাড়ীতে ইউপি সদস্য মোস্তাক কথিত প্রধান বিচারপতি হয়ে কথিত আদালত বসিয়ে বিচার কাজ শুরু করে। বিচারে সহ¯্রাধীক জনতার উপস্থিতিতে সাইফুদ্দিন শিশু ধষর্ণের চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করেন। উপস্থিত লোকজন সাইফুদ্দিনের শিশু ধষর্ণের বিষয়টি স্বীকার করেছে বলেও নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় সাইফুদ্দিনের সাথে কথা বলা হলে তিনিও এ প্রতিবেদকের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। কথিত আদলতে শিশু ধষর্ণের বিচার হয় না বলে বিচারে উপস্থিত লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়লে বিচার পন্ডু হয়ে যায়। এক পর্যায়ে শুক্রবার রাত ১টার দিকে স্কুল শিক্ষক মুশরীভূজা (জামতলা)গ্রামের সহিমুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে সারোয়ার মাষ্টারের বাড়ী তার নেতৃত্বে মুশরীভূজা জালালটোলার কাশেম হাজীর ছেলে নেফাউর, আলসার, সিরাটোলার মোকবুলের ছেলে আতিকুরসহ আরো কয়েক জন প্রভাব দেখিয়ে শিশুর বাবা সোইবুর ও তার মাকে ভয়ভীতি দেখায়। ভয়ভীতি দেখিয়ে মাত্র ২২ হাজার টাকা শিশুটির বাবা- মাকে প্রদান করে এবং তাদের কাছ থেকে ধষর্ণ চেষ্টার সাথে জড়িত সাইফুদ্দিনের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারে সে জন্য সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেয় তারা। ঘটনা গুলি আপোসের সময় উপস্থিত থাকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি এ সব ঘটনা জানান। এ ব্যাপারে শিশুর বাবার সাথে যোগাযোগ করা হলে ভয়ে প্রতিবেদকের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। এ ব্যাপারে আপোসে উপস্থিত প্রভাবশালী নেফাউরের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনাটি সম্পন্ন এড়িয়ে যান। অপরজন সারোয়ার মাষ্টারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসি এ ধরনের জঘন্য ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন এবং ধষর্ণ চেষ্টার সাথে জড়িত ব্যক্তি ও তাকে সহযোগিতাকারী প্রভাবশালীমহলটির ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছেন।