পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়ে জিহাদ হোসেন (৯) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ নিখোঁজ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ জুলাই) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুর্শিদপুর তেতুলতলা গোডাউনের ভেতরে জঙ্গলের মধ্যে লাশটির সন্ধান পাওয়া যায়।
নিহত শিক্ষার্থী জিহাদ মুলাডুলি তেতুলতলা গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী হাসেম আলীর ছোট ছেলে। সে দাশুড়িয়া কিন্ডারগার্টেন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। তিন ভাইয়ের মধ্যে জিহাদ সবার ছোট।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শিশু শিক্ষার্থী জিহাদ শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে বের হয় শিশু শিক্ষার্থী জিহাদ। তার বন্ধুরা সবাই বাড়িতে গেলেও জিহাদ আর বাড়িতে ফিরে যায়নি। সন্ধায় জিহাদ বাড়িতে ফিরে না আসলে তার পরিবারের স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে। জিহাদ বন্ধুদের সঙ্গে যেখানে খেলাধুলা করছিল, সেখানে পরনের প্যান্ট ও জুতা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের সন্দেহ হয়। শনিবার (৬ জু্লাই) সকাল সাড়ে পাঁচটায় পরিবারের সদস্যরা দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুর্শিদপুর গ্রামে তেতুলতলা গ্রামের গোডাউনের ভেতরে ঝোঁপের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় শিশু জিহাদের লাশ পায়।
খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মনিরুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত হয়ে মরদেহের প্রাথমিক সুরতাহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, তৃতীয় শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী জিহাদের মরদেহটি দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুর্শিদপুর তেতুলতলা সংলগ্ন গোডাউনের ভেতরে জঙ্গলের মধ্যে থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটির শরীরের গলায় কালচে দাগ পাওয়া গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, শ্বাসরুদ্ধ করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, আমরা লাশটিকে উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এদিকে নিহত শিশু জিহাদের মা শিউলি খাতুন বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন। তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।