প্রেমিকের সাথে ঘুরতে বেরিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২০ বছর বয়সের এক যুবতী। এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি জেলার মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরপদ্মা গ্রামের।
শনিবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মুলাদী থানার ওসি মোঃ জাকারিয়া জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-চরপদ্মা গ্রামের আলমগীর আকনের ছেলে নির্যাতিতা যুবতীর প্রেমিক ফজলে রাব্বী, মৃত আজাহার গোমস্তার ছেলে বাতেন গোমস্তা, আজিজ বেপারীর ছেলে রুহুল আমিন ও কালাম খানের ছেলে নাবিল খান। মামলার অপর আসামি আবুল কালাম বেপারীর ছেলে রবিন বেপারী পলাতক থাকলেও তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ওই যুবতীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা যুবতীর বাবা শুক্রবার সন্ধ্যায় বাদী হয়ে মুলাদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারে জানা গেছে, ঢাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বসে ওই যুবতীর সাথে ফজলে রাব্বীর পরিচয় হয়। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত ৪ জুলাই বিকেলে প্রেমিক ফজলে রাব্বী ওই যুবতীকে নিয়ে চরপদ্মা এলাকার মাছুম বিল্লাহর মাছের ঘেরে ঘুরতে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিক ফজলে রাব্বী ওই যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ঘেরে থাকা চারজন কর্মচারীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রেমিক-প্রেমিকাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। পরে তারা প্রেমিক ফজলে রাব্বীকে মাছের ঘেরের একপ্রান্তে নিয়ে আটকে রেখে যুবতীকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়।
মুলাদী থানার ওসি বলেন, দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতা নারীর বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে প্রেমিকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আত্মগোপনে থাকা অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে। শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।