কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্যে চলতি সপ্তাহে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। আজ রবিবার এ নিয়ে বৈঠক করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, “চলতি সপ্তাহের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিদ্যালয় কবে খুলে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রবিবার মিটিং হবে।”
মিটিংয়ে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি। এর আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারা দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে ইউজিসি দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশনা দেয়। কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে।
১৭ জুলাই রাতে দেশের আটটি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। পরে ২৪ জুলাই সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।