দেশজুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতা এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার সব দায়ভার নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে নাটোরে নিজ বাসভবনে জাতীয় শোক দিবস স্মরণে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে তিনি এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
পলক বলেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে যদি আমার কোনো ভুল হয়ে থাকে, আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ইন্টারনেট ব্যাহত হওয়া এবং সামাজিক মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়া দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
অশুভ চক্রান্তকারীরা সন্ত্রাস এবং হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেভাবেই হোক ছাত্রছাত্রী এবং কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে আমাদের যে দূরত্ব এবং ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সেটা আমাদের ঘর, প্রতিবেশী এবং প্রতিষ্ঠান থেকে করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের চোখের ভাষা বুঝতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই দূরত্ব তৈরি হওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের দোষ নয়, এটি আমাদের দোষ, আমরা যারা দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছি। এই ব্যর্থতা আমাদের এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আপনারা যদি বলেন, তবে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং সংসদ সদস্য হিসেবে এই ব্যর্থতা আমারও।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, কখনও তাদের প্রতি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে পলক বলেন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েই সেটার সমাধান করতে হবে। আমরা তাদের প্রতি কঠোর শাসনের পথ বেছে না নিয়ে তাদের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে স্নেহ-মমতা নিয়ে বসে কথা শুনলে আমার বিশ্বাস, অবশ্যই এই ভুল বোঝাবুঝি দূর হবে। এতে ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত সফল হবে না।