• বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন

উপযুক্ত সময়ে রোপা আমন চাষে ব্যস্ত চাষিরা, আশঙ্কা বন্যার

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪

বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কুড়িগ্রামে উপযুক্ত সময়ের মধ্যে রোপা আমন আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। মাঠে এখন তাদের সরব উপস্থিতি। তবে চর, দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলে আমন আবাদ এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। নাবিজাতের আমন আবাদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন চাষিরা। এ ছাড়াও চর ও নিম্নাঞ্চলে বীজতলার সংকটে পতিত পরে আছে অসংখ্য আবাদি জমি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামে এবার ১ লাখ ২০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৭ হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে চর, দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলে রোপা আমন আবাদ চলছে ধীরগতিতে।

জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার কোনো কোনো জমিতে পানি জমে আছে, কোথাও বালু পড়েছে। আর যেসব জমিতে পলি পড়েছে সেখানে কৃষকরা ব্রি জাতের বীজ ছিটিয়েছেন। তবে দেরিতে বন্যার পানি নামা ও বীজতলা নষ্ট হওয়ায় চর ও নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা ধারদেনা করে চড়া দামে বীজতলা সংগ্রহ করে জমিতে রোপণ শুরু করলেও আবারও বন্যার আশঙ্কায় তারা।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কলেজ মোড় এলাকার কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, বন্যায় আমার এখানকার বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। উঁচু এলাকা থেকে চড়া দামে বীজতলা কিনে জমিতে রোপণ করছি। এর আগে তো আমার বিভিন্ন সবজি পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতো খরচ করে আবাদ করছি, যদি আবার বন্যা হয় তাহলে কি হবে আমার।

একই এলাকার কৃষক মোকসেদ বলেন, বৃষ্টি না থাকার কারণে সেচের পানিতে জমি তৈরি করছি। আমন আবাদ করার জন্য, আবাদ না করলে খাবো কি।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাবিজাতের আমন চারা রোপণ করা যাবে। তা সম্ভব না হলে আগাম রবি ফসল আবাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।

এবারের বন্যায় কুড়িগ্রামে ৫০ হাজার কৃষকের ১০৫ কোটি টাকা মূল্যমানের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ