পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে লাহোরে অনুশীলন করছে টাইগাররা। এই সিরিজে ভালো কিছু করতে হলে ব্যাটারদের পাশাপাশি কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে শরিফুল-তাসকিনদের। কারণ, ঘরের মাঠে বেশ ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে বাবর-রিজওয়ানরা। তাই যত তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের উইকেটগুলো তুলে নিতে পারবে টাইগাররা, ততই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
গত বছর অধিনায়কত্ব ছাড়া পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ভালো করতে পারেননি বাবর আজম। তিন টেস্টে মধ্যে সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তবে বাংলাদেশ সিরিজ দিয়ে টেস্টে রানে ফিরতে চায় এই তারকা ব্যাটার। তবে এই সিরিজে বাবর আজমের উইকেট নিতে মরিয়া হয়ে আছে তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) পাকিস্তানের লাহোরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন শরিফুল। এ সময় বাবর আজমের উইকেটটাকে নিজের স্বপ্ন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শরিফুল বলেন, আমার স্বপ্নের উইকেট বাবর আজম। আমি যদি তার উইকেট পাই খুব খুশি হব। আমি তার সঙ্গে শেষ এলপিএল খেলেছি। উনি খুব ভালো মানুষও। বাবর আজম সবচেয়ে কঠিন ব্যাটার হবে। আমাদের তাকে তাড়াতাড়ি ফেরাতে হবে।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে রাওয়ালপিন্ডিতে। সেখানকার উইকেট নিয়ে এই পেসার বলেন, প্রথমত আমি এখনও রাওয়ালপিন্ডির উইকেট দেখিনি। আমি শুনেছি তারা কিছু ঘাস রেখেছে উইকেটে। আমরা আশা করছি ঘাস থাকবে। প্রত্যেক পেস বোলারই কিছুটা ঘাস ও সিম মুভমেন্ট থাকা পছন্দ করে। এটা পেসারদের জন্য ভালো।
তিনি বলেন, তাদের বিশ্বমানের ব্যাটার আছে। আমাদেরও ভালো বোলিং অ্যাটাক আছে। আমাদের তাদের সঙ্গে লড়তে হবে। আমাদের জন্য কাজটা কঠিন, কারণ তাদের ঘরের মাঠ। কিন্তু আমাদের তাদের সঙ্গে লড়তে হবে, কীভাবে তাদের আউট করা যায় (উপায়), খুঁজে বের করতে হবে।
ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি শরিফুলের। লাল বলের ক্রিকেট দিয়ে মাঠে ফিরছেন তিনি। তাই নিজের প্রস্তুতি নিয়ে শরিফুলের ভাষ্য,
‘আমার মনে হয় লাল বলের জন্য লম্বা সময় পর প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। আমার আরও কিছুদিন সময় হাতে আছে। আমার আরও কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে ফিটনেস ও বোলিং ওয়ার্কলোড নিয়ে। আমার মনে হয় প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে প্রস্তুতি।