এক দফা এক দাবি —’সালাউদ্দিন, কিরণের পদত্যাগ’। আজ সকাল থেকে বাফুফে ভবনের সামনে এই স্লোগান হয়েছে বারবার। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক কামরুন নাহার ডানার নেতৃত্বে কয়েকজন সাবেক নারী ফুটবলার বাফুফে ভবনের সামনে এই দাবিতে অবস্থান নেন।
বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগ চেয়ে আসছেন সাবেক ফুটবলার ও সংগঠকরা। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সেই দাবি আরো জোরালো হয়েছে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণের পদত্যাগ চায় ফুটবল সমর্থকদের সংগঠন।
এই তিন জনের মধ্যে শুধু সালাম মুর্শেদী পদত্যাগ করেছেন। সালাউদ্দিন পদত্যাগ করবেন না এবং আগামী নির্বাচনেও প্রার্থী হবেন বলে সাফ জানিয়েছেন। সালাউদ্দিনের অনুগত কিরণও সেই পথে হাঁটবেন সহজেই অনুমেয়। এমন পরিস্থিতিতে আজ ১৫-২০ নারী ফুটবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আন্দোলন করেন।
ফুটবল ফেডারেশনের সদস্যদের তেমন ক্ষমতা ও পরিধি নেই। এরপরও সদস্য কিরণের পদত্যাগ চাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিশিষ্ট নারী ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক ডানা বলেছেন, ‘সালাউদ্দিন কিরণের নির্দেশেই ফেডারেশন পরিচালিত হয়। এখানে অন্যদের মতামতের মুল্য নেই। তারাই সর্বেসর্বা।’
বাংলাদেশ নারী হ্যান্ডবলের আইকন ডালিয়া নারী ফুটবলও খেলেছেন। তিনি কিরণের প্রতি অভিযোগ তুলে বলেন, ‘খেলোয়াড়েরা প্রতিবাদ, সমালোচনা করলেই বাদ দেয়া হয়েছে। খেলোয়াড়দের খাবার নিয়ে অভিযোগ ছিল অনেক। তিনি (কিরণ) যখন প্রথম স্টেডিয়ামে আসেন তখন রিকশায় এসেছিলেন এখন দামি গাড়িতে আসছেন। সময়ের সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হতে পারে। তার যতটা উন্নয়ন হয়েছে, ফুটবল ও ফুটবলারদের কি হয়েছে?’
কিরণ ফিফার সদস্য ছিলেন। এখন এএফসিতেও আছেন, বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান। কিরণের উত্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ডানা, ‘নারী ফুটবল নিয়ে আমি ২০০৩-৪ সালের দিকে বাচ্চু ভাইয়ের সঙ্গে কাজ শুরু করি। ২০০৮ সালে আমি সালাউদ্দিনের প্যানেলের সঙ্গে ছিলাম। এএফসিতে আমার নাম পাঠানোর কথা ছিল, সেখানে উড়ে এসে জুড়ে বসা কিরণকে অদৃশ্য কারণে পাঠিয়েছে সালাউদ্দিন।’