লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অভিভাবকের ভূমিকায় এককভাবেই ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। বোর্ডের গঠনতন্ত্র মেনে দুজন সহ-সভাপতি থাকার কথা থাকলেও নিজের মেয়াদে এই পদে কাউকেই নিয়োগ দেননি তিনি। রাজনৈতিক পালাবদলের পর পাপনের অনুপস্থিতিতে তাই ক্রিকেট বোর্ডের কার্যক্রমে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
ক্রিকেট বোর্ডের আঙ্গিনা যাদের পদচারণায় মুখরিত ছিল, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তাদের প্রায় সকলেই চলে গিয়েছেন আড়ালে। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের খোঁজ নেই। অন্যান্য অনেক বোর্ড পরিচালকই আছেন নাগালের বাইরে। এমন অবস্থাতেই আগামীকাল বোর্ড মিটিংয়ে হাজির হচ্ছেন পরিচালকরা।
সরকার পরিবর্তনের পর বহুল কাঙ্খিত বোর্ড মিটিং অবশেষে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যেখানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে বিসিবির সকল পরিচালককে। এবারের বোর্ড সভা অবশ্য মিরপুর শের-ই বাংলায় নয়, অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। সকাল ১১টায় শুরু হতে যাওয়া এই সভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে নাজমুল হাসান পাপনেরও।
তবে তিনি যোগ দিবেন অনলাইনে। আর এদিনই সিদ্ধান্ত হতে পারে বিসিবির নতুন সভাপতি কে হবে সেটা নিয়ে।
এর আগেই অবশ্য জানা গিয়েছে নাজমুল হাসান পাপন ক্রিকেট বোর্ডে নিজের পদ ছাড়তে রাজি। সে হিসেবে কালই আসতে পারে এই সিদ্ধান্ত। আবার গতকাল পদত্যাগ করা জালাল ইউনুসের বদলে নতুন কেউ যুক্ত হতে পারেন বোর্ডে।
বিসিবির এক পরিচালক নিশ্চিত করেছেন আগামীকালের বোর্ড সভার ব্যাপারে। সেই পরিচালক বলেন, ‘জরুরি বোর্ড সভা ডেকেছে কাল সকাল ১১টায়। সব পরিচালকদেরই উপস্থিত হওয়ার কথা। মেইলও পেয়েছি ইতমধ্যে।’
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৯ পরিচালকের উপস্থিতি আবশ্যক। ক্রিকেট বোর্ডের ভবিষ্যতটা অনেকাংশে নির্ভর করবে আগামীকালের এই বৈঠকের ওপর।