আশুলিয়ার একটি তৈরি পোশাক কারখানার কেমিকেল মিশ্রিত পানির বিষক্রিয়ায় একজন তরুণ উদ্যোগক্তার ঘেরের প্রায় ৭০০ মণ মাছ মরে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ৬০/৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ওই যুবকের। দুই বছর আগেও একই কারখানার বর্জ্যের বিষক্রিয়ায় তার প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ মরে গিয়েছিলো বলে দাবি করেন তিনি।
সোমবার এঘটনায় আশুলিয়ার টাকসুর এলাকায় অবস্থিত আরন ডেনিম কারখানার বিরুদ্ধে একটি লিঝিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রাশেদুল ইসলাম সজল।
ভুক্তভোগী রাশেদুল বলেন, তাতী বিলের প্রায় ১০ একর জমি লিজ নিয়ে গত প্রায় ৪-৫ বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছি। এই কারখানার কেমিকেল মিশ্রিত পানি বিলে সরাসরি ফেলার কারণে প্রায় প্রতি বছরেই আমার ঘেরের মাছ মারা যেতো। দুই বছর আগেও আমার ঘেরের প্রায় ২৫০ মণ মাছ মরে ভেসে ওঠেছিলো। এতে আমার ৩০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। তখন থানায় অভিযোগ করলেও স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্যের কারণে কোন সমাধান পাইনি।
রাশেদুক অভিযোগ করে বলেন, আরন ডেনিম নামের ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ ইটিপি না চালিয়ে বর্জ্য শোধন ছাড়াই ক্যামিকেল মিশ্রিত পানি বছরের পর বছর ধরে বিলে ফেলছে। এতে করে এই এলাকার প্রায় শত শত বিঘা আবাদি জমিতে কেউ ফসল ফলাতে পারছে না। আগে অনেক ধরণের মাছ পাওয়া যেতো, এখন সেগুলো আর পাওয়া যায় না। কারখানা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এখানকার পরিবেশ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরে আমরা এলাকাবাসী উপায়ন্তু না পেয়ে ওই কারখানার সামনে গিয়ে মানববন্ধন করেছি।
এ বিষয়ে আরন ডেনিম কারখানার এইচআর (এডমিন) মো. শফিক বলেন, আমরা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলব আমাদেরওতো অথোরিটি আছে বোঝেন নাই? তাদের সাথে কথা না বলেতো আপনাদের সাথে কথা বলতে পারি না তাই না।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিষক্রিয়ায় এক উদ্যোক্তার মাছ মরে যাওয়ায় একটি কারখানার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী। অভিযোগ তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।