বিয়ের মাত্র ১৯ দিনের মাথায় লালমনিরহাটে জোসনা বানু (১৮) নামের এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মেয়েটির চাচা সরোয়ার হোসেন শহর বাদী হয়ে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে নীলফামারীর ডিমলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।মামলার পর অভিযান চালিয়ে ওই নববধূর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
জোসনা বানু নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ি গ্রামের কৃষক জহর আলীর মেয়ে। একই উপজেলার ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের মোহম্মদ আলীর ছেলে জাহিদ ইসলাম (২০)স্ত্রী এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা মাদ্রাসা এলাকা থেকে তিস্তা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানান, ২০ দিন আগে জাহিদ ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় জোসনার। গত শুক্রবার চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে আসে সে। ওই দিন বিকেলে সেখান থেকে নিখোঁজ হয় জোসনা বেগম। এ সময় তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ডিমলা থানায় অপহরণ মামলা করে তার পরিবার। এদিকে রবিবার সকালে মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা মাদ্রাসা এলাকায় তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে ভেসে আসা কিশোরীর লাশ দেখতে পান স্থানীয় কৃষকেরা। নিহত মেয়েটির মেহেদিরাঙা হাতে ‘আই লাভ ইউ’ লেখা এবং দুই হাত ওড়না দিয়ে পিছমোড়া করে বাঁধা ও মুখ ঝলসানো ছিল।
খবর পেয়ে জোসনার পরিবার এসে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল থেকে লাশ শনাক্ত করে। এরপর ডিমলা থানায় মামলা থাকায় মরদেহ সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের উপস্থিতিতে হস্তান্তর করা হয়।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায় বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির চাচা ডিমলা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, জোসনা বানুকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পল নিহতের স্বামী জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে নীলফামারী আদালতে পাঠানো হবে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।