• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন

ধামরাইয়ে পিতা খুনের ঘটনায়-ছেলে কারাগারে

আপডেটঃ : শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

ধামরাই(ঢাকা) প্রতিনিধি॥
ঢাকার ধামরাইয়ে বিদেশ ফেরত তিন সন্তানের জনক হাজী জিন্নত আলী নামে এক ব্যবসায়ীসহ ও তার স্ত্রীকে কে বা কারা  নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে রাতে মাথায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। ৫দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই ব্যবসায়ী মারা যান। এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের করা হলে থানা পুলিশ নিহতের একমাত্র ছেলে আবু বক্করকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। শুধু তাইনয় ৩দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ২০দিন পেরিয়ে গেলেও এলাকায় প্রতিনিয়ত আলোচনা ও সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে।
এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের পাইচাইল(পাচাল) গ্রামের জিন্নত আলী দীর্ঘদিন বিদেশে থাকতেন। বাড়িতে ছিল তার  স্ত্রী-দুই মেয়ে ও একছেলে। বিদেশ থেকে আসার পর ভালই কাটছিল তাদের জীবন। গ্রামের মধ্যে সেই বেশি সম্পদশালী  ছিল। দুই মেয়ের বিয়ে হলেও একমাত্র ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক বিয়ে করেনি। পরিবারের সবাই সুন্দরী পাত্রী দেখে তাকে ধুমধাম করে বিয়ে করাবে এ প্রত্যাশা ছিল সবার। এরমধ্যে ছেলে আবু বক্কর অন্যত্র বিবাহিত ও এক সন্তানের জননীকে ভাল বেসে বিয়েও করে। বাড়ির লোকজন বধূ হিসেবে ওই মেয়েকে মানতে নারাজ। ছেলে ও তার ভালবাসার স্ত্রীকে ছাড়তে নারাজ। এনিয়ে প্রায়ই ছেলেকে বউ ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতো তার বাপ মা। এছাড়া শুধু তাইনয় আত্বীয় স্বজন দিয়ে ছেলেকে বুঝাতে থাকে নিহত জিন্নত আলী। কিন্তু এক পর্যায়ে ছেলেকে তার বউ ছাড়া বিষয়ে  বুঝাতে না পেরে আত্বীয় স্বজন ডেকে এনে ছেলেকে মারধরও করে। এই কারণে রাগ করে আবু বক্কর বাড়ি থেকে চলে গিয়ে  বউনিয়ে অন্যত্র থাকতে থাকেন বলে জানাযায়।
এরমধ্যে হাজী জিন্নত আলী(৫৫)ও তার স্ত্রী রাশেদা বেগম(৪৮)কে ৩১ জানুয়ারী বুধবার রাতে নিজ বাড়ির বিল্ডিংয়ের রুমে শয়ন কক্ষে কে বা কারা(দুর্বৃত্তরা) পিটিয়ে এবং মাথার মধ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরেরদিন সকালে প্রতিবেশীরা বাড়ির লোকজনের  কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে এগিয়ে আসে। পরে দেখতে পায় তারা দুজনই রক্তাক্ত অবস্থায় কক্ষের মধ্যে পড়ে আছে। পরে প্রতিবেশীরা তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৫ ফেব্রুয়ারী দুপুরে হাজী জিন্নত আলী মারা যায় ।  ওই সময় ¯ী¿ রাশেদা বেগমের  অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকলে বর্তমানে কিছুটা সুস্থ্য রয়েছে। ওই রাতে কি ঘটেছিল স্ত্রী রাশেদা বেগম তা বর্ণনা দিতে পারছেনা। তিনি মুখ খুললেই হত্যাকান্ডের প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে   ধামরাই থানার উপ-পরির্দশক( এস আই) মোঃ জসিম দেওয়ান বলেন, জিন্নত আলীর  এক আত্বীয় সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই জন্য তার ছেলেকে আটক করে তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে কোটে প্রেরণ করা হয়েছে। এই  হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটন করতে পারছে কি জানতে চাইলে তিনি কোন কিছু না জানিয়ে চলে যায় জানাইনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ