• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মৎস্যখাতে অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন

আপডেটঃ : শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১৮
Exif_JPEG_420

তানোর প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোরে মহাজোট তথা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ৯ বছরে এমপি ফারুক চৌধূরীর নিরলস প্রচেষ্টায় মৎ্যখাতে টেকসই, দৃশ্যমান ও অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন অর্জিত  হয়েছে। পশ্চাদপদ পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্র মৎস্যজীবীদের জীবন-মান উন্নয়নের জন্য বিলকুমারি বিলে প্রায় দু’ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি মৎস্য অভায়াশ্রম ও ১টি কজওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও মৎস্যজীবীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিল এলাকায় চালু করা হয়েছে নতুন নতুন সব প্রকল্প এতে প্রায় সহস্রাধিক মৎস্যজীবী পরিবার এর সুফল ভোগ করছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে একদিকে হতদরিদ্র মৎস্যজীবীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে মৎস্যজীবী ও মৎস্যচাষীদের সুদিন ফিরেছে। প্রকৃত মৎস্যজীবীরা সমিতির মাধ্যমে এসব বিলে মাছ চাষ করে জীবীকা নির্বাহ ও সুফল ভোগ করে চলেছে। এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরিফুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তানোর উপজেলা মৎস্য বিভাগের উন্নয়ন ও অর্জনের চিত্র তুলে ধনেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার আয়তন প্রায় ২৯৫.৩৯ বর্গ কিলোমিটার ,৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত, জনসংখ্যা প্রায় এক লাখ ৯২ হাজার, মাছের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩৭৭০ মেট্রিক টন, উৎপাদন প্রায় ৩৯৮৩ মেট্রিক টন এবং উদ্বৃত্ত প্রায় ২১৩ মেট্রিক টন। উপজেলায় পুকুর-দীঘি রয়েছে ৫৩৮৪টি, জলায়াতন প্রায় ৭৯১ হেক্টর, মাছ উৎপাদন প্রায় ৩৭৪১ মেট্রিক টন, সরকারি পুকুর-দীঘি রয়েছে ৭৬০টি, জলায়াতন প্রায় ১০৫ হেক্টর ও মাঝ উৎপাদন প্রায় ৪১০ মেট্রিক টন, ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর-দীঘি রয়েছে ৪৬২৪টি জলায়াতন ৬৮৩ হেক্টর, মাছ উৎপাদন ৩০৩১ মেট্রিকটন। বাণিজ্যিক মৎস্য খামার রয়েছে ৮০৭টি জলায়াতন প্রায় ২০৯ হেক্টর, মাছ উৎপাদন প্রায় ১২৩২ মেট্রিক টন। বিল রয়েছে একটি জলায়াতান ১৫৭ হেক্টর, মাছ উৎপাদন প্রায় ১৪২ মেট্রিক টন, প্লাবন ভূমি রয়েছে ২টি জলায়াতন ১০২ হেক্টর মাছ উৎপাদন প্রায় ১৩১ মেট্রিক টন। খাল রয়েছে ১০টি জলায়াতন ৪০ হেক্টর, মাছ উৎপাদন ২৮.৬ মেট্রিক টন এবং ধানখেতে মাছ রয়েছে ১টি জলায়াতন ০.১৩ হেক্টর মাছ উৎপাদন প্রায় ০.৩৯ মেট্রিক টন। নদ-নদী রয়েছে ১টি জলায়াতন প্রায় ১৫০ হেক্টর মাছ উৎপাদন প্রায় ৪০ ওমট্রিক টন। গালদা চিংড়ি চাষি রয়েছে এক জন জলায়াতন প্রায় ০.২৫ হেক্টর মাছ উৎপাদন (চলমান)। বেসরকারি মৎস্য নার্সারির সংখ্যা ২১টি পোনা উৎপাদন ১২৮ মেট্রিক টন এবং উপজেলা পোনার মোট চাহিদা ৬৮ লাখ উৎপাদন ৬১ লাখ, ঘাটতি ৭ লাখ। পাঙ্গাস চাষি রয়েছে ৩ জন, জলায়াতন ২ হেক্টর মাছ উৎপাদন ৮ মেট্রিক টন। মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষি রয়েছে ৬ জন, জলায়াতস ৩.৯ হেক্টর মাছ উৎপাদন ৩৯ মেট্রিক টন। কুঁচিয়া চাষি ৯ জন উৎপাদন ০.৭ মেট্রিক টন। মাছের খাবার বিক্রেতা রয়েছে ৭ জন মোট খাবার বিক্রির পরিমাণ ৪৫ মেট্রিক টন। হাট-বাজার ১৫টি দৈনিক একটি ও সপ্তাহে দুদিন ১৪টি, মাছের আড়ৎ ২০টি এবং জীবন্ত মাছ বাজারজাত করণে স্থাপনা রয়েছে ৬টি, মৎস্য অভায়াশ্রম স্থায়ী ২টি ও অস্থায়ী ১টি। মোট অবমুক্তকরণ পোনা ০.৪৩৫ মেট্রিক টন, জলাশয়ের সংখ্যা ৮টি আয়তন ৪৪.৮৪ হেক্টর। মৎম্যজীবী রয়েছে ১৬৭২ জন, মৎম্যজীবী সমিতি রয়েচে ৫টি ও মৎস্য চাষি রয়েছে ১০৯৪ জন। জলাকার ৪টি এগুলো হলো ফুলহাতা আয়তন ৩৫ হেক্টর, বাজেবড়শো আয়তন ৯ হেক্টর, মাসিন্দা ৬ হেক্টর,কর্ণহার বড়বিল বদ্ধখাড়ি আয়তন ৯ হেক্টর। এছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেচ প্রকল্প এবং অন্যান্য জলাশয়ে সমন্বিত মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন (৪র্ধ পর্যায়) প্রকল্প, জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান প্রকল্প এবং বাংলাদেশের নির্বাচিত এলাকায় কুঁচিয়া-কাঁকড়া চাষ ও গবেষণা প্রকল্প রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ