• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন

লে: কর্নেল (অব:) মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতিক মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে এগিয়ে

আপডেটঃ : শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি॥
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামীলীগের সম্ভব্য প্রার্থী হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার প্রতিবাদকারী লে: কর্নেল (অব:) মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতিক  আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমে নিয়মিত সভা সমাবেশ, গনসংযোগ ও দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন। বৃহত্তর জনগোষ্ঠির সেবা করার উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, ক্রিড়া-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের মধ্যদিয়ে গোপালপুর-ভূঞাপুরে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। এ সময় তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে তার পক্ষে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি ও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বর্তমান সরকারের সার্বিক উন্নয়নের সফলতা তুলে ধরছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামীলীগ সরকারকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত করতে এলাকায় সভা, সমাবেশে প্রচার করেন। ভূঞাপুর-গোপালপুরের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান, শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ পাড়া মহল্লায় তার ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও পোষ্টার রয়েছে। ভূঞাপুর-গোপালপুর উপজেলাসহ ২টি পৌরসভা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সাথে নিয়ে গ্রামে গ্রামে জনসংযোগের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় চালাচ্ছেন। লে: কর্নেল (অব:) মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতিক গণসংযোগে উৎফল্øিত ও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে গোপালপুর-ভূঞাপুরবাসী। টাঙ্গাইল- ২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। ভূঞাপুর ও গোপালপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌর এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন। টাঙ্গাইল-২ এ আসনটির সরকার দলীয় উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অধিকাংশই নেতাকর্মী গোপালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, সহসভাপতি, দপ্তর সম্পাদক ও ভূঞাপুর আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ভিপি ও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীরা লে: কর্নেল (অব:) মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতিক এর স্বপক্ষে প্রচারণায়  রয়েছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে তার স্বপক্ষে কাজ করছেন। তারা কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ মনোনয়ন বোর্ড বরাবরে লে: কর্নেল (অব:) মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক কে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল- ২ আসনটি মনোনীত করতে জোড় দাবী জানিয়েছেন। তারা আরও বলেন, হারুন অর রশিদ কে কেন্দ্রীয় কমান্ড মনোনীত করলে গোপালপুর ও ভূঞাপুরবাসীর সর্বস্তরের জনগণের মাঝে পূর্ণ আস্থার প্রসার ফিরে আসবে।
জননন্দিত এই নেতা টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার বেলুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৃত মির্জা ডা: হাতেম আলী। মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক লে: কর্নেল (অব:) ছাত্র জীবনের পুরোটা জুড়ে ছিল আওয়ামী ছাত্রলীগ রাজনীতির চর্চা। বর্তমানে দেশের একজন সুনামধন্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ সেনাবাহীতে কর্মরত থাকালীন সাহসিকতা ও ভালো কাজের জন্য বীর প্রতীক সম্মান অর্জন করেন। সাম্য, সামাজিক ন্যায় বিচার এবং শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থার পক্ষে লড়ে যাচ্ছেন অবিচল। সর্বপরি তার নির্বাচনী এলাকাকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করে মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ^াসী এ নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক হাতকে শক্তিশীলী করার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মাটি ও মানুষের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রাজনৈতিক নেতা মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক লে: কর্নেল (অব:)। গোপালপুর-ভূঞাপুরে অবিরাম চলছে তার পক্ষে প্রচারণা। তিনি যে এলাকায় যাচ্ছেন সে এলাকার মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ভিড় জামাচ্ছে। নেতা কর্মীদের পাশাপাশি মাঠ ঘাটে সর্বত্র সাধারণ মানুষের মুখে এখন মির্জা হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক লে: কর্নেল (অব:) কে ঘিরেই চলছে তার আলোচনা। কোন লোভ লালসা তাকে কখনও সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। এলাকার উন্নয়ন, আপদে-বিপদে এগিয়ে আসা এবং মানুষের মঙ্গলে যেকোন কর্মকান্ডে তাকে পাওয়া যায় অগ্রণী সেনানী হিসেবে।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী একজন কর্মী হিসাবে জনকল্যাণে কাজ করছি। ছাত্র জীবন থেকে বিভিন্ন সময় শোষন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি। নানা প্রতিকুলতা সত্বেও আমার জন্মস্থান গোপালপুর ও ভূঞাপুর বাসীর সেবায় নিজেকে সচেষ্ট রাখার চেষ্টা করছি। তাদের সুখে-দুখে পাশে থাকতে চাই। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের স্বার্থে জনগনের ম্যান্ডেট প্রয়োজন। তাছাড়া গণমানুষের সুখ-দুখের কথা সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় সংসদে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরার জন্য জনগনের রায়ে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে চাই। তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ মনোনয়ন বোর্ড থেকে আমাকে বা অন্য যে কাউকে নৌকা প্রতীকে মনোনীত করিবেন তার হয়েই দলের স্বার্থে কাজ করিব। তিনি বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর (অব:) কর্মকর্তা হিসেবে আওমীলীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড বরাবরে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ের জন্য জোড়ালো দাবী জানিয়েছেন।
গোপালপুর উপজেলার নলীন স্কুল মাঠে একইস্থানে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থী মো: ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ও খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলের নির্বাচনী সমাবেশ সভা গত ৩০ আগষ্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই ভূঞাপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় সভা সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। পরে মো: ইউনুছ ইসলাম তালুকদার পাশর্^বর্তী একটি স্থানে সমাবেশ করেন। গত ৩১ আগস্ট খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল ভূঞাপুর লোকমান হোসেন ফকির কলেজ মাঠে সমাবেশ ও মিছিল করেন। সাধারণ ভোটার ও কিছু নেতাকর্মীরা জানান, এ দুই নেতার কার্যকলাপে ১৪৪ ধারা জারী হওয়ায় আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ক্ষ্মুন্ন হয়েছে। তারা আরও জানান, লে: কর্নেল (অব:) মির্জা হারুন অর রশিদের জন্য দলের স্বার্থে কাজ করিব।
গোপালপুর-ভূঞাপুর বাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গোপালপুর-ভূঞাপুরের প্রতিটি মানুষ আমার প্রিয়। সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা পেলে বাকী জীবন আমি তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখব ইন্শাআল্লাহ্।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ