• রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হাসিনার আমলে নির্যাতিত হয়েছে হিন্দুরা, ক্ষুব্ধ মোদির ভূমিকায় হিন্দু জোটের মহাসচিব আপত্তিকর বক্তব্যে দেওয়ায় সমন্বয়ক হাসিবকে শোকজ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন ফখরুল জনগণের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইরান পরমাণু প্রযুক্তিতে শীর্ষ দেশের মধ্যে একটি, দাবি পারমাণু প্রধানের সোহেল তাজ স্মারকলিপি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টর কাছে যে দাবি জানালেন সৎ-নির্ভীক ও দক্ষ লোক ইসি সার্চ কমিটিতে নিয়োগ হবে বিয়ের দাবিতে এক প্রেমিকের বাড়িতে ২ তরুণীর অনশন আদানির পূর্বের বকেয়া জন্য মূলত দায়ী আওয়ামী লীগ সরকার: প্রেস সচিব নিরপরাধ মানুষকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সাভার থানার এসআই ক্লোজড

বছর শেষে হতাসা ভুলে স্বপ্নের চাষাবাদে সাজাই নতুন বছর

আপডেটঃ : শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

বছর শেষে হতাসা ভুলে, নতুন বছরে স্বপ্নের করি চাষাবাদ। প্রকৃতির নিয়মে সব কিছুর শুরুর সঙ্গেই রয়েছে শেষ হয়ে যাওয়ার চিরাচরিত নিয়ম। তবে কিছু কিছু শেষ হয়ে যাওয়া নতুনের বার্তা নিয়ে আসে। নব উদ্যমে শুরু হয় নতুন স্বপ্নের পসরা সাজিয়ে জীবনকে রাঙয়ে তোলার। নতুন বছর ঠিক তেমনি, নতুন করে চাওয়া পাওয়ার হিসেবকে সত্যি করতে আমাদের জীবনে আগমন করে। অন্যান্য বিষয়ের মতোই আমাদের জীবন সংসারে, আমাদের মাঝে নতুন বছরের আগমন ঘটে স্বপ্ন আর প্রত্যাশায়। শুরুটা স্বপ্ন আর প্রত্যাশার হলেও শেষটা অনেক সময় পাওয়া-না পাওয়ার হতাশায় মোড়ানো থেকে যায়।
চলে যাচ্ছে আরো একটি সাল, একটা বছর, চলে যাচ্ছে ২০১৭ খ্রীস্টাব্দ। আমরা চাইলেও  পুরাতন বছর চলে যাবে, না চাইলেও যাবে। আটকিয়ে রাখা যাবে না কোনো হাতের শক্তিতে বা কোনো অজুহাতে। আমরা জানি পুরাতনের বিদায়েই আগমন ঘটে নতুনের। আর নতুনের মাঝেই থাকে নতুন পরিকল্পনা, নতুন স্বপ্ন, আশা-ভরসা, থাকে ভালো কিছুর প্রত্যাশার দীর্ঘ ফর্দ। কি পেলাম আর কিইবা হারালাম সে হিসেবটা নাড়া দিয়ে যায় আমাদের জীবন এবং চার পাশটায়।
সফলতা আর ব্যর্থতাকে সংগী করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশের,সকল জাতী-গোষ্ঠীর মানুষ ২০১৭ সালে সর্বশেষ মাস ডিসেম্বর পার করছে, আর নতুন বছর ২০১৮ কে স্বাগত জানাতে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। সামনে স্বাগত জানাতে দাড়িয়ে আছে নতুন সালের দোর গোড়ায় । এমন ক্ষণ শেষ ও শুরুর মুহূর্তে মানুষ মাত্রই মনে প্রশ্ন জাগে কী পেলাম, হারালামই বা কী? কিংবা কী পেলাম না যার প্রত্যাশা ছিল বছরের প্রতিটি ক্ষণ জুড়ে? প্রত্যশা আর প্রাপ্তির সম্মিলন কতোটুকুই হয়েছে।
পাওয়া-না পাওয়ার মাঝেই আমাদের জীবনধারা, সময় এবং বাস্তবতা। সময় এবং বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই আমাদের মানবজীবন। চেষ্টা আর ভাগ্যকে মেনে নিয়েই আমরা সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই আগামীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে। আশা-নিরাশাকে ভোগ ও ত্যাগের সাথে মিলিয়ে যাই পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে, নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে।
আমাদের ব্যক্তি,সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অনেক স্বপ্ন সত্যি হয় আবার অগণিত স্বপ্নের মৃত্যু হয় আঁতুড় ঘরেই। তাই বলে কি থেমে থাকে বা থমকে যায় জীবন? না। জীবন তার নিয়ম সূচিতে পাওয়া-না পাওয়ার মাঝেই এগিয়ে চলে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির অমীমাংশিত হিসাবেকে মেনে নিয়েই। বাস্তবতা না মেনে উপায় কি? সত্য-সুন্দরকে জীবনে জড়িয়ে নেয়ার মাঝেই সুখ আর প্রশান্তি।
জীবন জুড়ে প্রাপ্তির সঙ্গেই আছে না পাওয়ার হতাশা। হতাশাকে মাড়িয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে নতুনের আহ্বানে।“যা চেয়েছি তা পাইনি, পেয়েছি যা চাইনি”-কে ভুলে গিয়ে দেশ-জনতার উন্নয়নে, নব উদ্যোগে-উচ্ছ্বাসে এবার বলতে চাই যা চেয়েছি তা পেয়েছি, আর যা পাইনি তা এবার পাবই ! বিগত বছর থেকে শিক্ষা নিয়ে, নতুন বছরের সঠিক পরিকল্পনা আমাদেরকে সফলতা দিকে নিয়ে যাবে।
নতুন বছর ২০১৮-এ আমাদের প্রত্যাশাগুলো প্রাপ্তিতে ভরে উঠুক এমন শুভ আশাবাদ মনের গহীনে উকিঁ দিচ্ছে দারুন উচ্ছাসে। আমাদের প্রত্যাশা হোক জাগ্রত সামাজিক মূল্যবোধে আমাদের সবার জীবন আলোকিত হোক। বিভেদহীন সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে দল-মত নির্বিশেষে গণতান্ত্রিকধারা অব্যাহত থাকুক। যেখানে মানুষগুলো বিশ্বজুড়েই অধিকার ফিরে পাক, আর যেন কোনো দেশেই লঙ্ঘিত না হয় মানবাধিকার।
বিশেষ করে আমাদের দেশে আশ্রয় নেয়া পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের নিপিড়িত,নির্যাতিত পরিচয়হীন মানুষগুলো তাদের অধিকার ফিরে পাক, বাঁচুক তাদের মৌলিক অধিকার নিয়ে তাদের নিজের জন্মভূমিতে। কুটনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্টি তাদের দেশ, মাতৃভুমিতে ফিরে যাক। ফিরে পাক তাদের রাষ্ট্রীয় সকল অধীকারের সাথেই বাপ-দাদার বিটে-মাটি। অসহায় এই মানুষগুলো তাদের মানবাধীকার ফিরে পাবে এমন প্রত্যাশা এবং জোড় দাবি হোক সকল বিশ্ববাসীর।
পুরাতন বছরকে বিদায় জানাতে আমাদের মনে কষ্টের সাথেই নতুন বছরের আগমনে উল্লাসী ভাবনা দারুন ভাবে আলোড়িত করছে । আসছে নতুন বছরের আগমন কেবলই উৎসবের নয়। আনন্দের সঙ্গেই বিগত বছরে কর্ম পর্যালোচনা করে, ভুলকে শোধরে আগামী দিনের জন্য নতুন স্বপ্ন-সংকল্প ও নব উদ্যোগের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে বিশ্বের কল্যাণ কামনা করে নতুনভাবে শুরু করা।বিশ্বের সকল অধীকার বঞ্চিত মানবতা ফিরে পাক তাদের মৌলিক অধীকার। মানবাধীকার সকল দেশে,সকল ক্ষেত্রে, সকল জাতী-গোষ্ঠিতে সমান গুরুত্বের সাথে ছড়িয়ে পড়–ন। শুধু রোহিঙ্গা নয় আমরা সকল মানুষের সমান অধীকার চাই । নতুন বছরের সবচেয়ে বড় চাওয়া এবং দাবী হোক মানবাধীকারের সঠিক ও সকল ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন।
গোটা পৃথিবী “হ্যাপি নিউ ইয়ার” বলে চিৎকার করে ওঠার মাত্র কিছুটা প্রহর বাকী। আসলে সুখটা কোথায়? সেটা খোঁজে নিতে হবে, ভাবনায়-চেতনায় ইচ্ছে শক্তিতে। নিত্যদিনের ঝামেলা, সামাজিক দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক অস্থিরতা, চাওয়া পাওয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে, কষ্ট ভুলে হ্যাপি নিউ ইয়ারের উৎসবকে সত্যিকারের সুখি করে তুলতে হবে। নব উদ্যমে শুরু হোক আমাদের জীবনে ইংরেজি নতুন বছর-২০১৮। সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক সবার জীবন। নতুন স্বপ্নের চাষাবাদে জীবনকে রঙিণ করে সাজাই নতুন বছর…
সফিল্লাহ আনসারী
সম্পাদক, ভালুকা নিউজ ডটকম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ