বাংলাদেশ ২০১৮ সালে কিছু মাইল স্টোন উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছে। দেশের টেলিকমিউনিকেশন, তথ্য প্রযুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পের জন্য এটি হবে বড় ধরনের অগ্রগতি। নতুন বছরে বাংলাদেশ দেশের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করবে। টেলিকম রেগুলেটর ফোরজি/এলটিই সেবা চালু করতে ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং সেবা প্রদানে মোবাইল নম্বর পোর্টাবিলিটি (এমএনপি) অপারেটর নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ২০১৮ সালে সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হবে। জনগণ এর সুফল পাবে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচির উল্লেখ করে বলেন, সরকার আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল বয়ে আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দেশের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এখন মহাকাশে উৎক্ষেপণের অপেক্ষায় আছে। এটির সফল প্রস্তুত কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। এটি উৎক্ষেপণের পর বাংলাদেশ ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট ওয়নিংক্লাবে যোগ দিবে।
বাংলাদেশ ২০১৫ সালের নভেম্বরে ফ্রান্সের থালেস এলেনিয়া স্পেসের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। স্যাটেলাইটটিতে ৪০টি ট্রান্সপোন্ডার রয়েছে। এটি সার্ক সদস্য রাষ্ট্রসমূহ, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন ও তুর্কমেনিস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের মতো দেশে সেবা প্রদানে সক্ষম হবে। একটি ট্রান্সপোন্ডার ৩৬ এমএইচ’র সমান।
বাংলাদেশ টেলিভিশন চ্যানেল, টেলিফোন এবং বেতার সংযোগের জন্য স্যাটেলাইট ভাড়া বাবদ বছরে ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হবার পর দেশ বছরে ১১০ থেকে ১২০ কোটি টাকার বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয় করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) দেশে ফোর-জি সেবা চালু করতে ১৪ ফেব্রুয়ারি ফোর-জি লাইসেন্স ইস্যু করবে। এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনটি ভিন্ন ব্যান্ডের জন্য অকশন দেয়া হবে।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, দু’টি নতুন কোম্পানি ফোর-জি /এলটিই লাইসেন্স নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে তিনি কোম্পানি দু’টির নাম প্রকাশে অস্বীকার করেন। নতুন বছরে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত মোবাইল নম্বর পোর্টাবিলিটি (এমএনপি) চালু করার মাধ্যমে যোগাযোগ সেক্টরের আরও একটি উইং সংযুক্ত যাচ্ছে। বিটিআরসি গত ৩০ নভেম্বর এমএনপি যৌথ কোম্পানি ইনফোজিলিয়ন বিডি টেলিটক কনসোর্টিয়ামের কাছে লাইসেন্স হস্তান্তর করে। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাবরুর হোসেন বলেন, আমরা লাইসেন্সের শর্তানুযায়ী আগামী মার্চ মাসের মধ্যে সেবা প্রদানে প্রস্তুত। কোম্পানি অবশ্যই লাইসেন্স পাবার ১৮০ দিনের মধ্যে সেবা প্রদান করবে। বাসস।